‘৮ মাসে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ’, সুকান্তর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘এগিয়ে বাংলা’

কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে শনিবার গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গড়িয়াহাটে বিজেপির মিছিলের সময় তাঁকে সহ ৩২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জামিনের প্রস্তাব দিলেও সুকান্ত সহ অন্যরা তা প্রত্যাখ্যান করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। রাতভর লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে থাকার পর রবিবার (২৯ জুন ২০২৫) সকালে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়। লালবাজার থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘এগিয়ে বাংলা’ নীতির সমালোচনা করে বলেন, “গত আট মাসে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একটিতে মৃত্যু হয়েছে, অন্যটিতে নির্যাতিতা কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন। প্রশাসন কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে ‘এগিয়ে বাংলা’ দাবি করেন?”
সুকান্ত আরও ঘোষণা করেন, এখন থেকে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হলে কেউ ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নেবেন না। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “আমি, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, তমোঘ্ন ঘোষ সহ ৩২ জন জামিন প্রত্যাখ্যান আন্দোলন শুরু করেছি। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হলে আমরা জামিন নেব না। পুলিশের ক্ষমতা বেশি, নাকি বিজেপি কর্মীদের, তা দেখতে চাই। বাংলায় কত জেল আছে, আমরা তার হিসেব নেব।” এই ঘটনা রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।