প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যায় ভারতের অবদান

প্রাচীন ভারতের জ্যোতির্বিদ্যা ও মহাকাশ অনুসন্ধানে অসাধারণ অবদান অন্বেষণ করছেন ভারতীয় নভোচারী শুভ্রাংশু শুক্লা। আর্যভট্টের মতো প্রাচীন প্রতিভারা পাই-এর মান নির্ভুলভাবে নির্ণয় করে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। বেদান্ত জ্যোতিষের মতো প্রাচীন গ্রন্থগুলোয় চান্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডার পদ্ধতির উল্লেখ রয়েছে, যা প্রাচীন ভারতীয়দের মহাকাশ পর্যবেক্ষণের গভীর জ্ঞানকে তুলে ধরে। প্রাচীন ভারতীয়রা আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াই গ্রহ এবং নক্ষত্রপুঞ্জ শনাক্ত করতে সক্ষম ছিলেন, যা সেই সময়ে তাদের উন্নত জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারণার প্রমাণ।
আর্যভট্টের যুগান্তকারী কাজ, বিশেষ করে ‘আর্যভটিয়া’, শূন্যের ধারণা, অনির্দিষ্ট সমীকরণ এবং পরিমাপের নীতিগুলি প্রবর্তন করেছিল। অষ্টম শতাব্দীতে আর্যভটিয়ার আরবি অনুবাদ আলগরিদমিক গণিতের বিকাশে সহায়ক হয়েছিল, যা আধুনিক সংখ্যা পদ্ধতি গঠনে ভারতের অবদানকে স্পষ্ট করে। বুরজাহোম, মুডুমাল এবং কোণার্কের সূর্য মন্দিরের মতো প্রাচীন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলি ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে প্রমাণ করে। এই স্থানগুলো প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র ছিল, যা ভারতের সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানের গুরুত্বকে তুলে ধরে।