কসবা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ‘এম’-এর অতীত কার্যকলাপ প্রকাশ্যে, সহপাঠীর চাঞ্চল্যকর দাবি

কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ‘এম’-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তার অতীতের নানা অপকর্ম এবং কলেজে দাদাগিরির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন তার প্রাক্তন সহপাঠী তিতাস মান্না। তিতাসের অভিযোগ, ২০১২ সালে কলেজে ভর্তির এক বছরের মধ্যেই ‘এম’ তার দাদাগিরি শুরু করে। ২০১৩ সালে চেতলা ব্রিজের ওপর কেটারিং কর্মীদের মারধর ও আঙুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় তার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এরপর বেশ কয়েক বছর গা ঢাকা দিয়ে ২০১৬ সালে আবার কলেজে ফেরার চেষ্টা করে সে। সে সময় তাকে বাধা দেওয়া হলেও, বহিরাগত গুন্ডা নিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালায় ‘এম’।

তিতাস আরও জানান, ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ‘এম’-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, র‍্যাগিং, তোলাবাজি, গুণ্ডামি সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। ২০১৯ ও ২০২২ সালেও তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সে ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিল। ২০২৩ সাল থেকে সে আবার কলেজে প্রভাব বিস্তার করে এবং নিজেকে সংগঠনের ইউনিট প্রেসিডেন্ট দাবি করে দাপট দেখাতে শুরু করে। তিতাসের দাবি, ‘এম’-এর নামে অন্তত ১০-১২টি মামলা রয়েছে। গত বুধবার রাতে কসবা কলেজের অস্থায়ী কর্মী ‘এম’ সহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, এই তিন অভিযুক্তই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *