পাকিস্তানের চলমান অর্থনৈতিক সংকটে পাশে দাঁড়াল চীন। ৩০ জুন, ২০২৫ সালের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর শর্ত পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান করতে চীন ৩.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ন্যূনতম ১৪ বিলিয়ন ডলারের শর্ত পূরণে সহায়ক হবে। শুধু চীন নয়, মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য বহুপাক্ষিক উৎস থেকেও পাকিস্তান প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত সহায়তা পেয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে সাময়িক স্থিতিশীলতা এনে দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঋণ পাকিস্তানের জন্য একটি জরুরি স্বস্তি হলেও, এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথ নয়। বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সংস্কার, কর ব্যবস্থার উন্নতি, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি দমনের মাধ্যমেই পাকিস্তানের অর্থনীতি স্থিতিশীল হতে পারে। সম্প্রতি IMF পাকিস্তানকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ায় ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ তাদের আশঙ্কা এই অর্থ সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার হতে পারে। তবে IMF জানিয়েছে, তাদের সহায়তা কেবল অর্থনৈতিক শর্তের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে।