বিস্ফোরক ফতোয়া ইরান থেকে মুসলিম বিশ্বের প্রতি, কাঁপছে ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর সিংহাসন!

ইরানের শীর্ষ শিয়া ধর্মগুরু আয়াতুল্লাহ নাসির মাকারেম শিরাজি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এক কঠোর ফতোয়া জারি করেছেন। এই ফতোয়ায় বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে। ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ট্রাম্প গত ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও, ইরানের এই ধর্মগুরুর ফতোয়া নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফতোয়ায় ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘শত্রু’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসলামিক ব্যবস্থার কোনো ব্যক্তি, বিশেষ করে সুপ্রিম লিডারকে হত্যার হুমকি দেওয়া ধর্মীয়ভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও গুরুতর পাপ। এমন হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং তাদের পবিত্রতার লঙ্ঘন রোধ করা মুসলিমদের জন্য আবশ্যক। ফতোয়ায় মুসলিম দেশগুলোকে এই ‘শত্রুদের’ কোনো প্রকার সহযোগিতা না করার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের প্রতি তাদের ভুল ও বক্তব্যের জন্য অনুতপ্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইরানের সামরিক কমান্ডারদের শেষ বিদায়ে উত্তাল তেহরান, প্রতিশোধের হুঙ্কার!
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের ভয়াবহ যুদ্ধে নিহত রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান ও অন্যান্য সিনিয়র সামরিক কমান্ডার এবং পরমাণু বিজ্ঞানীদের শেষকৃত্যে শনিবার তেহরানের রাস্তায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয়। রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রধান জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ-সহ অন্যান্যদের কফিন ট্রাকযোগে রাজধানীর আজাদী স্ট্রিট ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জনতা ‘আমেরিকা মুর্দাবাদ’ এবং ‘ইসরায়েল মুর্দাবাদ’ স্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তোলে। উল্লেখ্য, জেনারেল সালামি ও হাজিজাদেহ ১৩ জুন, অর্থাৎ যুদ্ধের প্রথম দিনেই নিহত হন, যখন ইসরায়েল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসের লক্ষ্যে ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করেছিল।