ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ! গ্রাউন্ড রিপোর্টে উঠে এলো আসল সত্য

ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ! গ্রাউন্ড রিপোর্টে উঠে এলো আসল সত্য

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের দীর্ঘ সংঘর্ষে উভয় পক্ষেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানি কর্মকর্তাদের মতে, এই সংঘাতে অন্তত ৬২৭ জন নিহত এবং ৪,৮৭০ জন আহত হয়েছেন, পাশাপাশি সারা দেশে অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েল তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে সেখানেও নিহতের সংখ্যা ৩০ জনের বেশি।

ইরানের হামলায় ইসরায়েলে যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছিল, TV9 সেই সমস্ত স্থানে গিয়ে ক্যামেরায় তা রেকর্ড করেছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা ইসরায়েলে সৃষ্ট ধ্বংসলীলা নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। আসুন সেই তালিকাটি দেখে নিই।

ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ভবনসমূহ
তেল আবিব: তেল আবিবের ঠিক মাঝখানে হওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রায় দশটি ভবন সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার প্রভাব অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।

হোলন: যেখানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত হেনেছিল, তার আশেপাশে ভবনগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

বীর সেবা: ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইসরায়েলের বীর সেবায় টানা তিন দিন ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে। পরের দিন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বীর সেবার নেগেভ টেক পার্ককে গুঁড়িয়ে দেয়, যেখানে মাইক্রোসফট সহ বেশ কয়েকটি বড় কো ম্পা নির অফিস ছিল এবং ইরানি দাবি অনুযায়ী, সেখানে IDF-এর সাইবার কমান্ড সেন্টারও ছিল।

মার্কিন হামলার পর সোসাইটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো
ফোর্ডো পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পরের দিন ইরান এক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলে পাঁচবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। বীর সেবার একটি এলাকায় বহু ভবন সম্বলিত একটি সম্পূর্ণ সোসাইটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এই হামলায় পাঁচজন নিহত এবং তিন ডজন মানুষ আহত হন।

তেল আবিবে যখন TV9-এর ক্যামেরায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লাইভ দৃশ্য ধরা পড়েছিল, তখন সেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কাছের একটি মল, শপিং সেন্টার এবং আশেপাশের ভবনে আঘাত হেনেছিল। এতে পুরো এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছিল।

হাইফায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
তেল আবিবের সংলগ্ন নিওস জোনাস এলাকায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র একটি বায়ো ল্যাবকে নিশানা করার দাবি করেছিল। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের নিখুঁত নিশানার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বিশ্ব হাইফায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ঘাঁটিতে হওয়া হামলায় দেখেছে। হাইফা বন্দরের কাছে যখন TV9-এর দল পৌঁছায়, তখন তারা দেখতে পায় যে একটি প্রায় পঞ্চাশ তলা উঁচু ভবনের পাশেই অবস্থিত তিন তলা একটি ভবনে ইরান প্রায় ১,৮০০ কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে। আমরা দেখেছি যে এটি সত্যিই একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ভবন ছিল। ইরান চাইলে সেই ভবনের পরিবর্তে পাশের পঞ্চাশ তলা উঁচু ভবনটিও ভেঙে দিতে পারত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *