ভীম আর্মি’র তাণ্ডব: পুলিশকে নাকাল করে শেষমেশ ধরা পড়তেই ধরলো কান!

প্রয়াগরাজে সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদকে করছনাতে যেতে বাধা দেওয়ার পর যারা হাঙ্গামা করেছিল, সেই ভীম আর্মি কর্মীদের খুঁজে বের করার অভিযান জোরদার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ৫১ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল যারা হাঙ্গামা করছিল এবং পুলিশের গাড়িতে উঠেও তাণ্ডব চালাচ্ছিল, আজ পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই তাদের কান ধরে বসে থাকতে দেখা গেছে।
এছাড়াও, প্রয়াগরাজ পুলিশ অনেক উপদ্রবকারীর দুই চাকার গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে। হাঙ্গামার দ্বিতীয় দিনে ভাড়েওয়ারা বাজার তার পুরনো রূপে ফিরে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। বাজারে দোকান খুলেছে এবং সাধারণ মানুষের আনাগোনাও ফিরে এসেছে।
পুরো ঘটনাটি কী?
রবিবার আজাদ সমাজ পার্টি (কাশিরাম)-এর প্রধান এবং ভীম আর্মির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদকে কৌশাंबी এবং করছনার ইসোটাতে যেতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে কর্মীরা করছনা থানা এলাকার ভাড়েওয়ারা বাজারে ব্যাপক ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।
ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পাথর ছোড়া
হাজার হাজার ক্ষুব্ধ জনতা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পাথর ছোড়ে। পাথরের আঘাতে এসিপি করছনা অরুণ ত্রিপাঠী সহ আরও অনেক পুলিশকর্মী, পথচারী, মহিলা এবং সাংবাদিক আহত হন। এমনকি বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটও চালানো হয়।
দেরি করে পুলিশি অভিযান শুরু
দেরি সন্ধ্যায় কোনোভাবে শান্তি ফিরে আসার পর পুলিশ কর্মীদের উপর কড়াকড়ি শুরু করে। তল্লাশি অভিযান এবং গ্রেফতারের পালা শুরু হয়। ঘটনার দিন রাতে যারা বাইক ফেলে পালিয়েছিল, সেইসব উপদ্রবকারীদের তিন ডজনেরও বেশি বাইক পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে ট্র্যাক্টরে চাপিয়ে করছনা এবং আশেপাশের পুলিশ ফাঁড়িগুলিতে রেখেছে। গাড়ির নম্বর দেখেও তদন্ত চলছে। পুলিশ দেরি সন্ধ্যা থেকেই গ্রেফতার শুরু করেছিল।
ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ রাতারাতি ২২ জন উপদ্রবকারীকে গ্রেফতার করে। এরপর পরদিন ভোর চারটা থেকে আবারও গ্রেফতার শুরু হয়। কাকরাম, তেলি কা পুরা, ইসোটা, ভুন্ডা, মছর কা পুরা, ঘোরঘাট, অরাই, ভীরপুর, করছনা, করবলপুর, বারসাওয়াল, লাখরাওয়া, লাহবরা, আকোদা, কৌন্ধিয়ারা, ভমোখর সহ কয়েক ডজন গ্রাম থেকে চিহ্নিত ৫১ জন উপদ্রবকারীকে গ্রেফতার করে দুপুরে জেলে পাঠানো হয়েছে।