“জিজু আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না, আমিও না…” স্বামীর ‘ভালোবাসা’ দেখে হতবাক স্ত্রী!

এতদিন আপনারা এমন খবর পড়েছেন যেখানে স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের পরকীয়ার কথা জানতে পেরে প্রেমিকের সাথে তাদের বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু উত্তর প্রদেশের রামপুর জেলা থেকে এর উল্টো একটি ঘটনা সামনে এসেছে।
স্বামী যখন জানতে পারলেন যে তার স্ত্রীর ছোট বোনের (শালি) সাথে সম্পর্ক রয়েছে, তখন তিনি প্রথমে প্রচণ্ড হাঙ্গামা করেন। এরপর স্ত্রীর ছোট বোনকে তার স্বামীর হাতে তুলে দিয়ে নিজে বাপের বাড়িতে চলে যান। এরপর মহিলাটির বাড়ির লোকেরা পুলিশ স্টেশনে পৌঁছান, যেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
এক বছর পুরোনো সম্পর্ক
এই ঘটনাটি আজিমপুর থানা এলাকার দুটি গ্রামের সাথে সম্পর্কিত। এখানে এক বছর আগে বিয়ে হওয়ার পর যুবকটির তার স্ত্রীর ছোট বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। মুরসায়না চৌকি এলাকার এক যুবকের বিয়ে হয়েছিল খউদ চৌকি এলাকার এক তরুণীর সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর যুবকটির তার শালির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে দু’জনের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে, কিন্তু পরিবারের কেউ এর বিন্দুমাত্র টের পায়নি।
বোনকে স্বামীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখলেন স্ত্রী
জানা গেছে, দুই দিন আগে স্ত্রী তার ছোট বোনকে নিজের স্বামীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে হতবাক হয়ে যান। স্ত্রী ছোট বোনকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় যে, “আমি দুলাভাইকে খুব ভালোবাসি এবং দুলাভাইও আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না।” দুলাভাই-শালির প্রেমের সম্পর্কের কথা শুনে স্ত্রীর মাথা গরম হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে চরম নাটক শুরু হয়। ছোট বোনের হাত ধরে স্ত্রী তার স্বামীর কাছে পৌঁছান। স্বামীর হাতে বোনের হাত তুলে দিয়ে স্ত্রী নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন।
“আমি সাবালিকা, নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি!” – শালি
বাপের বাড়ির লোকদের স্ত্রী পুরো ঘটনা খুলে বললে তারাও হতবাক হয়ে যান। এরপর তারা পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে পুলিশকে পুরো ঘটনা জানানোর পর পুলিশও অবাক হয়ে যায়। দুলাভাইয়ের খোঁজে পুলিশ গ্রামে অভিযান চালালে দেখা যায়, অভিযুক্ত পুরো পরিবার নিয়ে আগেই উধাও হয়ে গেছে। অন্যদিকে, বাড়িতে উপস্থিত শালি পুলিশকে বলেন, “আমি সাবালিকা এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি। আমি দুলাভাইকে ভালোবাসি এবং তাকে ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারি না।” বর্তমানে দুলাভাই-শালির এই প্রেমের ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।