সন্ত্রাসের আশ্রয়দাতা পাকিস্তানকে সাহায্যকারী চীনের অভ্যন্তরে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। চীনা সেনাবাহিনীর ভেতর থেকে এমন খবর সামনে আসছে, যা থেকে স্পষ্ট যে ড্রাগনের সামরিক কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট। শি জিনপিং ২১শে মে থেকে ৫ই জুন, ২০২৫ পর্যন্ত হঠাৎ করে জনসমক্ষে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন – ১৬ দিনের জন্য তার কোনো খোঁজ ছিল না!

খবর থেকে পুরোপুরি উধাও ছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট
এই সময়ে তার কোনো সফর ছিল না এবং কোনো বিবৃতিও জারি করা হয়নি। চীনের সরকারি সংবাদপত্র থেকেও ১৬ দিন ধরে তার ছবি উধাও ছিল এবং তাকে নিয়ে কোনো খবরও প্রকাশিত হয়নি। চীনের অর্থনীতির কথা বলতে গেলে, এটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এই সময়ে জিনপিংয়ের দল পিপলস লিবারেশন আর্মিতে (PLA) বড় ধরনের রদবদলও হয়েছে।

শি জিনপিং যখন উধাও ছিলেন, তখন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী হে লিফেং বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে দেখা করেন। বলা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মোকাবিলা করার জন্য এমনটা করা হয়েছিল। চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফুকেও তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগে জনসমক্ষে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন।

তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে
চীনা সরকার শুক্রবার (৪ জুলাই, ২০২৫) সেনাবাহিনীর তিন সিনিয়র কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। যে কর্মকর্তাদের সরানো হয়েছে তাদের মধ্যে জেনারেল মিয়াও হুয়া, নৌবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ ভাইস অ্যাডমিরাল লি হানজুন এবং চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার কর্পোরেশনের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার লিউ শিফেং অন্তর্ভুক্ত।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্নীতির কারণে এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে, শি জিনপিং বিদ্রোহের ভয়ে ছিলেন, তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের পর চীনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

চীনের স্টেট কাউন্সিলের ৫০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং অনেক কর্মকর্তা ৬ই জুন, ২০২৫ তারিখে শপথ নিয়েছিলেন। এই সময়ে শি জিনপিং সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। সাধারণত এমনটা হয় না যে এত বড় একটি অনুষ্ঠান থেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অনুপস্থিত থাকেন।