খরার কঠিন প্রভাব: নারীদের উপর যৌন সহিংসতা বাড়ছে

খরার কঠিন প্রভাব: নারীদের উপর যৌন সহিংসতা বাড়ছে

দরিদ্র দেশগুলিতে দীর্ঘস্থায়ী খরার সঙ্গে নারী ও কিশোরীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার ঝুঁকি বৃদ্ধির একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অধ্যয়নটি দেখিয়েছে যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে চলা চরম খরা সামাজিক দুর্বলতাকে আরও তীব্র করে তোলে। এই পরিস্থিতিতে নারীদের দূরবর্তী জলের উৎসের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়, যা তাদের যৌন সহিংসতার ঝুঁকির মুখে ফেলে। এছাড়াও, সম্পদের অভাবে অনেক ক্ষেত্রে অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে। PLOS গ্লোবাল পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দক্ষিণ আমেরিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৪টি দেশের ১৩-২৪ বছর বয়সী ৩৫,০০০-এর বেশি নারীর জরিপ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৮ থেকে ৪৩ মাস পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী খরার সময়কালে যৌন সহিংসতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। খরার কারণে জীবিকা ও সম্পদের উপর চাপ বাড়ে, যা গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলিকে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এই অবস্থায় নারীদের অভিবাসন বা বাল্যবিবাহের মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, যা তাদের নিরাপত্তাকে আরও বিপন্ন করে। PLOS Climate জার্নালে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঝড়, ভূমিধস বা বন্যার মতো চরম আবহাওয়ার ঘটনাও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর সহিংসতা বাড়াতে পারে। গবেষকরা জোর দিয়ে বলেছেন, এই সমস্যা মোকাবেলায় পরিবেশগত ও সামাজিক উভয় দিক থেকে ব্যাপক কৌশল প্রয়োজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *