সিদ্দারামাইয়া-শিবকুমারের হাতে হাত, কংগ্রেসে কি ঝড় থামবে?

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার সোমবার মাইসুরুতে এক জনসভায় হাতে হাত ধরে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন, যখন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং নেতৃত্ব পরিবর্তনের গুজব তুঙ্গে। ২০২৩ সালের নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও, সিদ্দারামাইয়া ঘোষণা করেছেন, “আমাদের সরকার পাঁচ বছর পাথরের মতো দাঁড়িয়ে থাকবে।” কংগ্রেস নেতা আরভি দেশপাণ্ডে ও মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র যতীন্দ্রও জোর দিয়েছেন, সিদ্দারামাইয়া পূর্ণ মেয়াদে থাকবেন। তবে, দলের কিছু বিধায়কের সমালোচনা এবং সমবায়মন্ত্রী কে এন রাজন্নার ‘ক্ষমতা কেন্দ্র’ নিয়ে মন্তব্য কোন্দলের আগুন জ্বালিয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার বেঙ্গালুরু সফর নেতৃত্ব পরিবর্তনের জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে, যদিও তিনি এটিকে ‘সাংগঠনিক বৈঠক’ বলে অস্বীকার করেছেন। বিধায়ক ইকবাল হুসেনের দাবি, দুই-তিন মাসের মধ্যে শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, যা ২০২৩-এর কথিত ‘আড়াই বছর’ চুক্তির কথা মনে করিয়ে দেয়। বিজেপি এই কোন্দল এবং মাইসুরু জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগকে হাতিয়ার করে সরকারের সমালোচনা করছে। সিদ্দারামাইয়া বিজেপির ‘মিথ্যা প্রচার’ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা আক্রমণ করেছেন। আসন্ন দিনগুলোতে দলের ঐক্য এবং সরকারের স্থিতিশীলতা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত থাকবে।