আমেরিকা থেকেও ভয়ঙ্কর ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা বানাচ্ছে ভারত! ১০০ মিটার মাটির নিচে ঢুকে গুঁড়িয়ে দেবে শত্রুর ঘাঁটি!

ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় আমেরিকার বাঙ্কার-বাস্টার হামলার ঘটনা ভবিষ্যতের যুদ্ধের গতিপথ স্পষ্ট করে দিয়েছে। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)-এর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী এবং গভীরে প্রবেশ করে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরির দিকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই ব্যবস্থা অগ্নি-V ক্ষেপণাস্ত্রের দুটি পরিবর্তিত সংস্করণের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে।
ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে নির্ভুল লক্ষ্যভেদ
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার GBU-57/A বোমা ফেলার জন্য B-2-এর মতো ব্যয়বহুল বোমারু বিমানের প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, ভারত তাদের বাঙ্কার-বাস্টার বোমাগুলিকে ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছে। এতে খরচ কম হবে এবং এই অস্ত্রগুলি আরও নির্ভুলভাবে ও দূর থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। অগ্নি-V-এর এই পরিবর্তিত সংস্করণগুলি প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জ সহ ৮ টন ওজনের ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম হবে।
১০০ মিটার গভীরে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ
নতুন ক্ষেপণাস্ত্রগুলি শত্রুর শক্তিশালী কংক্রিটের কাঠামোর নিচে তৈরি পারমাণবিক এবং কৌশলগত ঘাঁটিগুলিও ধ্বংস করতে পারবে। বিস্ফোরণের আগে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রায় ৮০ থেকে ১০০ মিটার মাটির গভীরে প্রবেশ করার ক্ষমতা রাখবে। এর মধ্যে একটি সংস্করণ এয়ারবার্স্ট হবে, যেখানে অন্যটি বিশেষভাবে গভীর-প্রবেশের জন্য তৈরি করা হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি GBU-57-এর মতো প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে, তবে এর পেলোড ক্ষমতা আরও বেশি হবে।
হাইপারসোনিক ক্ষমতা এবং কৌশলগত সুবিধা
অগ্নি-V-এর এই নতুন সংস্করণগুলি ম্যাক ৮ থেকে ম্যাক ২০ (শব্দের গতির ৮-২০ গুণ) গতিতে উড়তে সক্ষম হবে, যা তাদের হাইপারসোনিক অস্ত্রের শ্রেণীতে স্থান দেবে। তাদের গতি এবং পেলোড ক্ষমতা মার্কিন ব্যবস্থার চেয়ে বেশি হবে। এই অস্ত্রগুলির প্রধান উদ্দেশ্য হবে পাকিস্তান এবং চীনের মতো সম্ভাব্য শত্রুদের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং অন্যান্য সংবেদনশীল সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করা। এই উন্নয়ন ভারতের সামরিক আত্মনির্ভরশীলতা এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থায় স্বনির্ভরতার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।