ইজরায়েলের কোনো অধিকার নেই! ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে নেতানিয়াহুর বন্ধু এমনটাই বললেন

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বন্ধু, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রকাশ্যে ইরানের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। তিনি কেবল মুসলিম দেশটির ওপর ইজরায়েলের হামলার নিন্দাই করেননি, বরং এতে নিহত কর্মকর্তাদের প্রতি শোক ও সমবেদনাও জানিয়েছেন।
ম্যাক্রোঁ এমনকি বলেছেন যে, ইরানের পারমাণবিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার ইজরায়েলের নেই।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রবিবার ইরানের রাষ্ট্রপতি পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। মেহের নিউজের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সময় ফ্রান্স ইরানের IAEA (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি)-এর সঙ্গে সহযোগিতা শেষ করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে। পেজেশকিয়ান বলেছেন যে, ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ এজেন্সির ডিরেক্টর রাফায়েল গ্রোসি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। এই কারণেই ইজরায়েল আগ্রাসনের সুযোগ পেয়েছিল।
ইজরায়েলের ওপর গর্জন ম্যাক্রোঁর
পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথোপকথনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ বলেছেন যে, ইজরায়েলের হামলার সময় ইরানিদের শাহাদাতে ফ্রান্স দুঃখিত, এবং তিনি ইরানের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ম্যাক্রোঁ বলেছেন যে, ইরানের ওপর এই হামলার নিন্দাকারীদের মধ্যে ফ্রান্সই প্রথম ছিল। মেহের নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথোপকথনে ম্যাক্রোঁ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নাম উল্লেখ করে বলেছেন যে, তার শাসনের পর ইরানের পারমাণবিক হামলায় হস্তক্ষেপ করার কোনো আইনি ভিত্তি বা অধিকার নেই।
ম্যাক্রোঁ বলেছেন যে, ফ্রান্স IAEA-এর আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে ইরানের উদ্বেগ বোঝে। তিনি তেহরানের সঙ্গে প্যারিসের সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
‘আমাদের জন্য দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করা হয়েছে’
ইরানের রাষ্ট্রপতি বলেছেন যে, ইজরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রের তুলনায় ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কার্যক্রমের মোকাবিলায় দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। পেজেশকিয়ান বলেছেন যে, ইরানের সমস্ত পারমাণবিক কার্যক্রম IAEA-এর নজরদারিতে রয়েছে, তবুও আমেরিকা এবং ইজরায়েল সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। তিনি বলেছেন যে, ইজরায়েল পারমাণবিক অপ্রসারণ চুক্তি (NPT)-এর সদস্য নয় এবং গত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক নিয়ম ও প্রবিধানের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
পুনরায় হামলা হবে না তার গ্যারান্টি কী?
পেজেশকিয়ান ম্যাক্রোঁর কাছে জানতে চেয়েছেন যে, এখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আর হামলা হবে না তার কী গ্যারান্টি আছে। তিনি বলেছেন যে, পারমাণবিক এজেন্সির সাম্প্রতিক আচরণে ইরানের জনগণ উদ্বিগ্ন, বিশ্বাস পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই সংগঠনকে তার আইন সম্পূর্ণরূপে পালন করতে হবে। তিনি বলেছেন যে, কেবল IAEA নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও শান্তি ও নিরাপত্তার পথ প্রশস্ত করতে হবে।