বিহারের বেগুসরাই জেলায় প্রশাসনিক কার্যশৈলীর কথা উঠলে সবার আগে আইএএস তুশার সিংগলা-র নাম আসে। বর্তমানে বেগুসরাইয়ের জেলাশাসক হিসেবে কর্মরত তুশার সিংগলা তার দৃঢ় ব্যক্তিত্ব, স্বচ্ছ প্রশাসন এবং দ্রুত পদক্ষেপের জন্য পরিচিত। জনগণ এবং অধস্তন কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি এমন একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন, যিনি শুধুমাত্র পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন না, বরং তার প্রভাবও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।

আইআইটি দিল্লি থেকে বি.টেক
পাঞ্জাবের বরনালা জেলায় ১৯৯০ সালের ৩ জুন জন্মগ্রহণ করেন তুশার সিংগলা। প্রাথমিক শিক্ষার পর তিনি আইআইটি দিল্লি থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেন। এরপর তিনি জেএনইউ থেকে পাবলিক ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনার সময়ই তিনি প্রশাসনিক সেবায় যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন এবং ইউপিএসসি (UPSC)-এর প্রস্তুতি শুরু করেন। প্রাথমিক ব্যর্থতা সত্ত্বেও তিনি হাল ছাড়েননি এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৮৬তম র্যাঙ্ক নিয়ে নির্বাচিত হন। তার ঐচ্ছিক বিষয় ছিল কম্পিউটার সায়েন্স ইন ইঞ্জিনিয়ারিং।

২০১৫ ব্যাচের আইএএস অফিসার
২০১৫ ব্যাচের এই আইএএস অফিসারের কার্যশৈলীতে স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা এবং জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। তিনি প্রতিটি কাজ সময়মতো শেষ করার উপর জোর দেন। অনেক কর্মকর্তাও মনে করেন যে, ডিএম তুশার সিংগলার কার্যশৈলী ব্যবস্থাকে গতি দিয়েছে এবং কর্মীদের মধ্যে শৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরি করেছে।

পূর্বে কিশানগঞ্জে কর্মরত থাকাকালীনও তিনি উন্নয়নমূলক কাজের নতুন দিশা দিয়েছিলেন। এখন বেগুসরাইতেও তার প্রভাব শহরের সৌন্দর্য, পরিচ্ছন্নতা এবং बुनियादी অবকাঠামোর উন্নয়নে দেখা যায়। তিনি যখনই কোনো সমস্যা দেখেন, তা দখল উচ্ছেদ হোক বা জনসমস্যার দ্রুত সমাধান, তুশার সিংগলাকে প্রতিটি স্তরে সক্রিয় দেখা যায়।

জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় সিংগলা
জনগণের মধ্যে তার জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হলো, তিনি কেবল আদেশ দেন না, বরং ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজেই সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেন এমন একজন প্রশাসনিক নেতা। এই কারণেই বেগুসরাইয়ের নতুন পরিচয় তৈরিতে তার নাম অগ্রণী হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।