৩ বছর ধরে নিজেকে ঘরে বন্দি রেখেছিলেন অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তি, অনলাইনে খাবার অর্ডার করে চলত জীবন!

৩ বছর ধরে নিজেকে ঘরে বন্দি রেখেছিলেন অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তি, অনলাইনে খাবার অর্ডার করে চলত জীবন!

নভি মুম্বাই থেকে এক অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি অবসাদের কারণে গত ৩ বছর ধরে নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি রেখেছিলেন। তথ্য অনুযায়ী, লোকটি আগে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করতেন।

কিছু বছর আগে তার বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২০ বছর আগে তার বড় ভাই আত্মহত্যা করেছিলেন। এর ফলে তার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না।

জুইনগর, সেক্টর ২৪-এর ঘরকুল সোসাইটিতে বসবাসকারী ৫৫ বছর বয়সী অনুপ কুমার নায়ারকে মানসিক অবসাদ, একাকীত্ব এবং পারিবারিক বিপর্যয় এতটাই ভেঙে দিয়েছিল যে তিনি বাইরের দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। তিনি শুধুমাত্র অনলাইনে খাবার অর্ডার করে জীবনযাপন করতেন। তার ফ্ল্যাটে কোনো আসবাবপত্র ছিল না এবং পুরো বাড়িটি নোংরা দেখাত। ফলে ঘরে যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ জমে গিয়েছিল।

নায়ারের ফ্ল্যাটের অবস্থার খবর এক যুবক জানতে পারেন, তিনি ‘সীল’ (Seal) সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরো ঘটনাটি জানান। এরপর ‘সীল’ সংগঠনের কর্মীরা তার ফ্ল্যাটে পৌঁছালে তারা নায়ারকে গুরুতর অবস্থায় দেখতে পান। তার পায়ে গুরুতর সংক্রমণ ছিল, যার অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করা হয়।

স্থানীয়রা সাহায্য করতেন
সোসাইটির সভাপতি বিজয় শিবে জানিয়েছেন যে, নায়ার খুব কমই দরজা খুলতেন এবং আবর্জনাও বাইরে ফেলতেন না। স্থানীয়রা সময় সময় তাকে সাহায্য করতেন, যার মধ্যে আর্থিক সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। “আমরাও অনেকবার তাকে সাহায্য করেছি,” বলেন শিবে।

একাকীত্বই এই দশায় এনেছিল
বর্তমানে, নায়ার পানভেলের ‘সীল আশ্রমে’ আছেন, যেখানে তার চিকিৎসা চলছে। সংস্থাটির মতে, তার স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। নায়ার স্বীকার করেছেন যে বাবা-মা এবং ভাইয়ের মৃত্যুর পর একাকীত্ব এবং স্বাস্থ্য সমস্যাই তাকে এমন করতে বাধ্য করেছে। ‘সীল’ সংস্থার প্রচেষ্টায় কেবল তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্য স্থিতিশীল করারও চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *