ফের বিতর্কে হার্ভার্ড: ইহুদি ছাত্রদের উপর বৈষম্যের জেরে সমস্ত তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

ফের বিতর্কে হার্ভার্ড: ইহুদি ছাত্রদের উপর বৈষম্যের জেরে সমস্ত তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার এবং মর্যাদাপূর্ণ হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির মধ্যে আবারও তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি ক্যাম্পাস থেকে ইহুদি ছাত্রদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগের ওপর অবিলম্বে এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে তাদের অবশিষ্ট ফেডারেল ফান্ডিং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন এবং ইহুদি-বিরোধী পরিবেশ তৈরির অভিযোগ এনেছে।

মার্কিন সরকারের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে যে, “বেশিরভাগ ইহুদি ছাত্র ক্যাম্পাসে পক্ষপাত এবং বৈষম্যের মুখোমুখি হওয়ার কথা বলেছে, যেখানে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন ছাত্র নিজেকে শারীরিকভাবে অসুরক্ষিত মনে করেছে।”

গাজার কারণে ইহুদিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
এই চিঠিতে বিশেষভাবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলা এবং এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের পর আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হওয়া বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হার্ভার্ড প্রশাসন এমন ছাত্র এবং সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।

অন্যদিকে, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যুক্তি হলো, এই পদক্ষেপ শিক্ষাগত স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার মূল্যবোধের পরিপন্থী।

হার্ভার্ডকে আবারও হুমকি
এই পুরো ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডকে তাদের শিক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। হোয়াইট হাউস এ পর্যন্ত $২.৬ বিলিয়ন (প্রায় ₹২১,৬০০ কোটি) তহবিল আটকে দিয়েছে এবং ইউনিভার্সিটির কর ছাড়ের মর্যাদা (Tax Exemption Status) নিয়েও পুনর্বিবেচনার কথা বলেছে। প্রাথমিকভাবে যেখানে অভিযোগ ইহুদি-বিরোধিতা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, এখন সরকার রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এবং নিয়োগ ও ভর্তিতে বৈচিত্র্য-ভিত্তিক নীতিগুলিকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, হার্ভার্ডের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ইহুদি ছাত্র, ফ্যাকাল্টি এবং কর্মীদের মধ্যে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে। সরকার বলছে যে, যদি বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধানসম্মত পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করে, তবে তাদের ফেডারেল সহায়তা থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করা হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *