আপনার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যেতে পারে! এই তারিখের মধ্যে ফর্ম পূরণ করুন, শুধু আধার কার্ড দেখালে চলবে না!

আপনার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যেতে পারে! এই তারিখের মধ্যে ফর্ম পূরণ করুন, শুধু আধার কার্ড দেখালে চলবে না!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের একটি বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো যোগ্য ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা এবং অযোগ্যদের বাদ দেওয়া। এই অভিযানে, যদি কোনো ভোটার সময়মতো তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি জমা না দেন, তাহলে সরাসরি ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হতে পারে। পাটনা জেলায় প্রায় ৪,৯০৬ জন বুথ লেভেল অফিসার (BLO) এবং ৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ ও সংগ্রহের কাজ করছেন। প্রতিটি পরিবার এবং প্রতিটি ভোটারের তথ্য যাচাই করা বাধ্যতামূলক। যদি কোনো পরিবারে পাঁচজন সদস্য থাকেন, তবে তাদের সকলের নামের সত্যতা যাচাই করা এবং ২৫শে জুলাইয়ের মধ্যে ফর্ম পূরণ করে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

এই প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো মৃত বা স্থানান্তরিত ব্যক্তিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, নতুন যোগ্য ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং ভোটার তালিকায় থাকা ডুপ্লিকেট বা অযোগ্য নামগুলি সরানো। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. ত্যাগরাজন এস এম জানিয়েছেন যে এটি কেবল একটি প্রশাসনিক কাজ নয়, বরং গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করার একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র আধার কার্ড দেখালেই চলবে না; ভোটার তালিকাভুক্তি বা যাচাইকরণের জন্য ১১ ধরনের নথির মধ্যে যেকোনো একটি দেখানো বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে রয়েছে জন্ম শংসাপত্র, পাসপোর্ট, পেনশন অর্ডার (PPO), জমি বা বাড়ির বরাদ্দপত্র, শিক্ষাগত শংসাপত্র, জাতি/निवास/পরিবার শংসাপত্র ইত্যাদি। ২০০৩ সালের আগে এবং পরে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য আলাদা আলাদা নথির প্রয়োজন হবে। তবে, যাদের বাবা-মা ২০০৩ সালের আগে ভোটার তালিকায় ছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ফর্ম পূরণ ও নথি আপলোড করার সুবিধা এখন অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশন শীঘ্রই একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করবে।

বিহারের ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা দীর্ঘকাল ধরে প্রশ্নবিদ্ধ। জাল ভোটিং, মৃত ভোটার এবং একাধিক এন্ট্রি বারবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই সংশোধনী অভিযান সেই সমস্যাগুলি দূর করার একটি প্রচেষ্টা, তবে এর সাফল্য নির্ভর করবে জনসাধারণের সহযোগিতা এবং সময় মতো কাজ করার ওপর। আপনি যদি ভোট দিতে চান, তাহলে আপনার দায়িত্ব পালন করুন, অন্যথায় গণতন্ত্রের তালিকা থেকে আপনার নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *