ট্রাম্পের বড় সিদ্ধান্ত: সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ

ট্রাম্পের বড় সিদ্ধান্ত: সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ

যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তীকালীন নেতার সঙ্গে আলোচনার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো দেশটিকে স্থিতিশীলতা ও শান্তির পথে ফিরিয়ে আনা। এই আদেশ সিরিয়াকে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে, বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে এবং আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। তবে, এই সিদ্ধান্তে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তার শীর্ষ সহযোগী, পরিবারের সদস্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন, মাদক পাচার বা রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এছাড়াও, সিরিয়ার সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা বা অন্যান্য সন্দেহজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনাকারীদের ওপর ‘সিজার অ্যাক্ট’ নামে পরিচিত প্রধান নিষেধাজ্ঞাগুলো এখনও কার্যকর থাকবে। ট্রাম্প প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞাগুলোতে অস্থায়ী ছাড় দিয়েছে, তবে সেগুলো স্থায়ীভাবে কেবল আইনের মাধ্যমেই বাতিল করা সম্ভব।

মে মাসে সৌদি আরবে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই সময় তিনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নীতিগত পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউস এই আদেশের কপি ‘এক্স’-এ পোস্ট করেছে। উল্লেখযোগ্য যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও সিরিয়ার ওপর থেকে প্রায় সব অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তবে, সিরিয়াকে এখনও একটি “সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক দেশ” এবং আল-শারার গোষ্ঠীকে “বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন” হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনাধীন আছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *