পাকিস্তান-আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় ‘হিন্দু’ সংযোগ! সম্পর্ক রয়েছে রামায়ণ যুগের সঙ্গেও

হিন্দুকুশ একটি অত্যন্ত প্রাচীন এবং দীর্ঘ পর্বতশ্রেণী। এই পর্বতমালাগুলি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই শান্তিপূর্ণ বলে মনে হয়। এগুলি সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পর্বতমালা হিমালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে অবস্থিত এই পাহাড়গুলির নাম হিন্দুকুশ কীভাবে হলো?
এই নামকরণ নিয়ে বেশ কয়েকটি গল্প প্রচলিত আছে। একটি প্রচলিত মত অনুসারে, হিন্দুকুশ শব্দের অর্থ হলো ‘হিন্দুদের হত্যাকারী’। বলা হয়ে থাকে যে, যখন ভারত থেকে মানুষকে দাস হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো, তখন এই দুর্গম পথ ব্যবহার করা হতো। এই পথগুলি অত্যন্ত উঁচু এবং বিপজ্জনক ছিল, যেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হতো। এই কারণেই এই পর্বতমালার নাম হিন্দুকুশ রাখা হয়েছিল।
হিন্দুকুশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হলো তিরিখ মীর, যা পাকিস্তানের চিত্রাল (Chitral) অঞ্চলে অবস্থিত।
রামায়ণের সঙ্গে সংযোগ
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, পূর্বে এই পর্বতকে পারিয়াট্র বা পারিজাত পর্বত বলা হতো। জনশ্রুতি আছে যে, ভগবান শ্রীরামের পুত্র কুশ এখানেই তপস্যা করেছিলেন। কুশ এখানেই অমৃত দীক্ষা পেয়েছিলেন, এবং সেই থেকেই এটি ‘হিন্দুকেশ’ নামেও পরিচিত, যার অর্থ ভারতের শেষ সীমা।