যুদ্ধের পর ইরান ইমেলকে বানাল অস্ত্র, ট্রাম্পের দলকে দিল কড়া হুমকি!

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতি শেষ হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধের পর, এখন যুদ্ধের ময়দান পরিণত হয়েছে ডিজিটাল স্পেসে। এবার ইরান-সমর্থিত হ্যাকাররা আমেরিকা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলকে সরাসরি নিশানা করেছে। একটি ইরানি-সমর্থিত হ্যাকার গ্রুপ দাবি করেছে যে, তাদের কাছে ট্রাম্প সম্পর্কিত প্রায় ১০০ জিবি ইমেল ডেটা রয়েছে এবং তারা সেগুলো ফাঁস বা বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘রবার্ট’ নামে কাজ করা এই হ্যাকার গ্রুপটি ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে প্রকাশ্যে এসেছিল। সে সময় তারা ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ইমেল হ্যাক করেছিল এবং কিছু সংবাদমাধ্যমকেও ফাঁস করেছিল। যুদ্ধের পর এই গ্রুপটি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
কারা আছে এই হ্যাকারদের নিশানায়?
রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, হ্যাকারদের কাছে ট্রাম্পের দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ইমেলের সম্পূর্ণ ডেটা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সুজি উইলস, ট্রাম্পের আইনজীবী লিন্ডসে হ্যালিগান, ট্রাম্পের উপদেষ্টা রজার স্টোন-এর নাম। এছাড়াও, স্টর্মি ড্যানিয়েলস (একজন পর্ন তারকা যিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ছিলেন) তার ডেটাও এই হ্যাকার গ্রুপের কাছে রয়েছে। গ্রুপটি বলছে যে তারা এই ইমেলগুলো বিক্রি করার মনস্থির করেছে। যদিও তারা এখনও স্পষ্ট করেনি যে, এর মধ্যে কী কী বিষয়বস্তু আছে।
আগেও ধাক্কা খেয়েছিলেন ট্রাম্প
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ‘রবার্ট’ গ্রুপ কিছু ইমেল ফাঁস করেছিল, যার মধ্যে ট্রাম্প এবং তার আইনজীবীদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন, আরএফকে জুনিয়রের সাথে আইনি চুক্তি সম্পর্কিত তথ্য, স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সাথে জড়িত মীমাংসা আলোচনা এবং রিপাবলিকান নেতাদের সাথে সম্পর্কিত নির্বাচনী কৌশল অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, এই ফাঁসগুলো ট্রাম্পের জয়ে কোনো বড় প্রভাব ফেলেনি। আপাতত, হোয়াইট হাউস, এফবিআই এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কোনো বিস্তারিত বিবৃতি আসেনি।
ডিজিটাল যুদ্ধের নতুন মুখ
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান এখন অপ্রতিসম যুদ্ধ (Asymmetric Warfare) কৌশল অবলম্বন করছে, যার মাধ্যমে আমেরিকা এবং ইসরায়েলকে সরাসরি যুদ্ধ না করেই ক্ষতি করা যায়। সাইবার আক্রমণ, ডেটা ফাঁস এবং অনলাইন অপারেশন এখন ইরানের নতুন যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। এবং ট্রাম্পের দল এখন এই হুমকির সরাসরি নিশানায় রয়েছে।