ভারতীয় কিশোর লেখক ও বিজ্ঞানীর কলমে এলন মাস্কের অনুপ্রেরণামূলক জীবনী!

মুম্বই: ১৮ বছর বয়সী বিবান কারুলকার, যিনি ‘নয়া ভারতের’ একজন প্রতিভাবান এবং সফল কিশোর লেখক ও বিজ্ঞানী, তাঁর তৃতীয় বই “Elon Musk: The Man Who Bends Reality” লিখেছেন। এই বইটি বিশ্বখ্যাত উদ্যোক্তা এবং প্রযুক্তি আইকন এলন মাস্কের জীবনের উপর ভিত্তি করে একটি অনুপ্রেরণামূলক জীবনী। বিবান একজন লেখক ও বিজ্ঞানী হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাপক স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি সনাতন ধর্মের বৈজ্ঞানিক দিক নিয়ে দুটি বই লিখেছেন, যা দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, আধ্যাত্মিক গুরু এবং বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা অর্জন করেছে।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে, বিবান নিয়ার-আর্থ অবজেক্টস (NEOs) সনাক্তকরণ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য একটি ইন-প্রিন্সিপাল পেটেন্ট পান। এই অর্জনের মাধ্যমে তিনি বিশ্বের কনিষ্ঠতম গবেষক এবং আবিষ্কারকদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন। ১৬ বছর বয়সে তিনি তাঁর প্রথম বই “The Sanatan Dharam: True Source of All Science” লেখেন। এই বইটি ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দিরে প্রকাশিত হয়, যা মন্দির ট্রাস্টের মহাসচিব শ্রী চম্পত রায় জি দ্বারা রামলালার গর্ভগৃহে তাঁর চরণে নিবেদন করে উন্মোচন করা হয়। ১৭ বছর বয়সে বিবান তাঁর দ্বিতীয় বই “The Sanatan Dharam: True Source of All Technology” প্রকাশ করেন, যা ১৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে পরম পূজ্য সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং ইসরো চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ জি যৌথভাবে উন্মোচন করেন। এখন, মাত্র ১৮ বছর বয়সে, বিবান এলন মাস্ককে নিয়ে তাঁর তৃতীয় বইটি নিয়ে এসেছেন।
এলন মাস্কের জীবন ও চিন্তাভাবনার গভীর বিশ্লেষণ
এই জীবনীটি মাস্কের জীবন, দৃষ্টিভঙ্গি, উদ্ভাবন এবং তাঁর অনুপ্রেরণামূলক চিন্তাভাবনাকে তুলে ধরে। বিবান গত ১০ বছর ধরে এলন মাস্কের কাজ এবং আদর্শের গভীরভাবে অধ্যয়ন করছেন। তিনি ৮ বছর বয়স থেকেই মাস্ককে অনুসরণ করা শুরু করেন। এই বইটি মাস্কের জীবনের অনেক কম পরিচিত ঘটনা, সিদ্ধান্ত এবং দৃষ্টিভঙ্গি সামনে এনেছে, যা পাঠকদের একটি সম্পূর্ণ নতুন এবং অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টিকোণ প্রদান করবে। এটি কেবল তাঁর উদ্যোগের গল্প নয়, বরং তাঁর ভেতরের অনুপ্রেরণা, সাহস এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার এক গভীর চিত্রণ।
এই বইটির সফট লঞ্চ ২৮ জুন ২০২৫ তারিখে এলন মাস্কের জন্মদিনে করা হচ্ছে। বিবানের আকাঙ্ক্ষা যে তিনি নিজে মাস্ককে এই বইটির একটি কপি উপহার দেবেন, যা একজন তরুণ লেখকের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক। বিজ্ঞান, আধ্যাত্মিকতা এবং উদ্ভাবনকে এক করে, বিবান কারুলকারের এই তৃতীয় সৃষ্টি আজকের তরুণ প্রজন্মের জন্য কেবল একটি অনুপ্রেরণা নয়, বরং এটি দেখায় যে চিন্তা ও শব্দের মাধ্যমেও বিশ্বকে পরিবর্তন করা সম্ভব।