ইরান, হুতি এবং হামাসকে ছাড়ুন, এবার ইসরায়েলের নজরে নতুন লক্ষ্য!

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের যুদ্ধ এখন শুধু গাজা, লেবানন বা সিরিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই যুদ্ধ এখন আফ্রিকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে সুদান একটি নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। ইসরায়েলের নতুন রাডারে এসেছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান, যিনি সুদানের সামরিক স্বৈরশাসক এবং ইরানের জিহাদি নেটওয়ার্ককে খোলামেলা সমর্থন দিচ্ছেন।
আল-বুরহান, যিনি একসময় পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে একজন বাস্তববাদী নেতা হিসেবে বিবেচিত হতেন, এখন ইরান, হামাস এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো সংগঠনগুলোর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তার শাসনামলে সুদান এখন ড্রোন প্রযুক্তি, অস্ত্রের সরবরাহ এবং সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের নতুন আড্ডায় পরিণত হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানি এজেন্টরা সুদানের রাজধানী খার্তুমে সক্রিয় রয়েছে এবং এখান থেকে অস্ত্রের চালান লোহিত সাগরের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।
ইরানের গেমপ্ল্যান: চারদিক থেকে ইসরায়েলকে ঘিরে ফেলা
ইরানের কৌশলগত উদ্দেশ্য স্পষ্ট – ইসরায়েলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন এবং ইয়েমেনের পর এখন সুদান ইরানের জন্য একটি নতুন সন্ত্রাস করিডোর হয়ে উঠেছে। সুদানের ভৌগোলিক অবস্থানও এর জন্য উপযুক্ত। লোহিত সাগরের কাছে অবস্থিত এই দেশটি এখন ইরানের জন্য একটি লজিস্টিক হাব হয়ে উঠছে।
হামাসের নতুন আশ্রয়স্থল: খার্তুম
গাজায় হামাসের উপর ইসরায়েলের ব্যাপক অভিযানের পর, এর অনেক অপারেটিভ এখন সুদানে আশ্রয় নিচ্ছে। খার্তুমে হামাসের নতুন নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে, যেখান থেকে পরবর্তী সন্ত্রাসী কৌশল প্রস্তুত করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইসরায়েলের শত্রুরা এখন একটি নতুন ফ্রন্ট থেকে পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
এখন ইসরায়েল কী করবে?
মিশর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোও আল-বুরহান এবং ইরানের জোট নিয়ে সতর্ক, কিন্তু তাদের প্রতিক্রিয়া এখনও কূটনৈতিক বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইসরায়েলের জন্য এই বিষয়টি কেবল কূটনীতির নয়, বরং অস্তিত্বের। এমন পরিস্থিতিতে, যৌথ গোয়েন্দা অভিযান, সামরিক হামলার সম্ভাবনা এবং একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক কৌশলের প্রয়োজন।