সাবধানে! এই খাবারগুলি শ্রাবনে এড়িয়ে চলুন, অন্যথায় স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে

সাবধানে! এই খাবারগুলি শ্রাবনে এড়িয়ে চলুন, অন্যথায় স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে

শ্রাবন মাসে খাবার এড়িয়ে চলুন: সাওয়ান মাসে অনেক লোক তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনেন। এর মধ্যে তারা তাদের জীবনযাপন থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়ার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন করেন। ভারতের গ্রামগুলিতে, বিশেষ করে হিন্দি বলয়ে, একটি প্রবাদ খুব প্রচলিত আছে যা খুব সহজভাবে বলে যে কোন ঋতুতে কী খাবেন এবং কী এড়িয়ে চলবেন।

এই লোক প্রবাদেই ‘সাওয়ান সাগ না ভাদো দই’ এর উল্লেখ আছে।

সাওয়ানে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন

সাওয়ানে দুধ থেকে তৈরি জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত কারণ এই দিনগুলিতে মাটির নীচে থাকা বেশিরভাগ পোকামাকড় উপরে চলে আসে এবং ঘাস বা সবুজ জিনিসে সংক্রমণ ছড়ায়। গরু বা মহিষ সেই ঘাস খায়, যার দুধ আমাদের বাড়িতে আসে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। দই খাওয়া উচিত নয় কারণ এই দিনগুলিতে পরিবেশে আর্দ্রতা এবং জীবাণুর বৃদ্ধি হয়, যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্ম দেয়। এছাড়াও, দইয়ের প্রকৃতি ঠান্ডা হয়, যার কারণে সর্দি-কাশির ভয়ও থাকে।

হজমতন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ে

আয়ুর্বেদের মতে, বৃষ্টির কারণে মানুষের হজমতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, রসুন এবং পেঁয়াজের প্রকৃতি গরম হয়, যা খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং বদহজমের সমস্যা হয়।

বেগুন না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়

চরক সংহিতায় সাওয়ান মাসে বেগুন না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যার বড় কারণ হল এর প্রকৃতি এবং হজমের উপর এর প্রভাব। বেগুনকে ‘নোংরা পরিবেশে জন্ম নেওয়া সবজি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং সাওয়ানে আর্দ্রতার কারণে এতে পোকা লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, যার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে

সুশ্রুত সংহিতায় সাওয়ানে সবুজ শাক-সবজি খেতে নিষেধ করা হয়েছে, কারণ এই ঋতুতে মাটির নীচে থাকা বেশিরভাগ পোকামাকড় উপরে চলে আসে এবং সবুজ শাক-সবজি নষ্ট করে দেয়, যার ফলে ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার ভয় থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *