‘আগে বের হবেন কেন’, মধ্যপ্রদেশের ৪০ ঘণ্টার জ্যামে ৩ জনের মৃত্যু নিয়ে NHAI-এর বিতর্কিত মন্তব্য

‘আগে বের হবেন কেন’, মধ্যপ্রদেশের ৪০ ঘণ্টার জ্যামে ৩ জনের মৃত্যু নিয়ে NHAI-এর বিতর্কিত মন্তব্য

ইন্দোরে ৪০ ঘণ্টার যানজটে ৩ জনের মৃত্যুর পর ত্রুটিপূর্ণ সড়ক নির্মাণের জন্য ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI)-কে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।

তবে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে NHAI-এর জবাবে উল্টো জনসাধারণকেই দায়ী করা হয়েছে।

আগ্রা-মুম্বাই জাতীয় সড়কের ইন্দোর-দেওয়াস অংশে ৪০ ঘণ্টার যানজট নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ভর্ৎসনা করার পর, সড়ক কর্তৃপক্ষ ক্ষতির দায়ভার স্বীকার না করে উল্টো প্রশ্ন তুলেছে – “মানুষ কোনো কাজ ছাড়া এত আগে বাড়ি থেকে বের হয় কেন?”

এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় NHAI-এর আইনি পরামর্শদাতা এই প্রতিক্রিয়া দেন।

যানজটে তিনজনের মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় সরকার ও NHAI-কে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের বিচারপতি বিবেক রুসিয়া এবং বিনোদ কুমার দ্বিবেদী এই নোটিশ জারি করেন।

ইন্দোরের প্রশাসন ও পুলিশকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ৭ জুলাইয়ের মধ্যে আইনি নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে সময় দেওয়া হয়েছে।

৪০ ঘণ্টা ও ৩ মৃত্যু: আসাম্পূর্ণ রাস্তার জন্য NHAI-কে ভর্ৎসনা

NHAI-এর বিরুদ্ধে নতুন করে নোটিশ জারি করার সময় হাইকোর্ট উল্লেখ করেছে যে, তারা সেপ্টেম্বর ২০২৪-এর মধ্যে একটি ডাইভারশন রোডের নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সড়ক কর্তৃপক্ষকে চার সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছিল। কিন্তু জুন ২০২৫-এও রাস্তাটি আসাম্পূর্ণ রয়ে গেছে।

NHAI এই বিলম্বের কারণ হিসেবে ১০ দিনের ক্রাশার ইউনিট ধর্মঘটকে দায়ী করেছে, তবে আদালত উল্লেখ করেছে যে, তারা সড়ক কাজটি শেষ করতে তিন থেকে চার মাস সময় চেয়েছিল।

আসাম্পূর্ণ কাজের কারণে, হাইওয়েতে চালকরা ৪০ ঘণ্টার যানজটে আটকা পড়েন, যার ফলে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে: ইন্দোরের কমল পাঞ্চাল (৬২), শুজালপুরের বলরাম প্যাটেল (৫৫) এবং গাড়িয়া পিপাল্যা গ্রামের সন্দীপ প্যাটেল (৩২)।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, যানজটের সময় গরমে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কমল পাঞ্চাল। এছাড়া, বলরাম প্যাটেলের ভাগ্নে জানিয়েছেন যে, তার চাচার জীবন বাঁচাতে পরিবারটি রাস্তায় ছিল, যিনি পরে যানজটে মারা যান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *