দিল্লী সরকারের ‘নো ফুয়েল’ নীতিতে সর্বনাশ! রেঞ্জ রোভার মালিকের ক্ষোভ, নেটপাড়ায় সমালোচনার ঝড়

দিল্লী সরকারের নতুন ‘এন্ড অফ লাইফ’ (EoL) গাড়ি নীতি আরও একজন গাড়ির মালিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। রিতেশ গান্ধী, যিনি একটি ৮ বছরের পুরনো ডিজেল রেঞ্জ রোভারের মালিক, এই নীতির কারণে তার বিলাসবহুল SUV বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। রিতেশের দাবি, তার গাড়ি লকডাউনের সময় ২ বছর ধরে দাঁড়িয়ে ছিল এবং মাত্র ৭৪,০০০ কিলোমিটার চলেছে।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ লিখেছেন, “আমার গাড়ির খুব ভালোভাবে যত্ন নেওয়া হয়েছে। এটি একটি ৮ বছরের পুরনো ডিজেল গাড়ি, যা মাত্র ৭৪,০০০ কিলোমিটার চলেছে। এই গাড়ির জীবনকালে আরও ২ লাখ কিলোমিটার চলার ক্ষমতা আছে, কিন্তু দিল্লীতে ১০ বছরের পুরনো ডিজেল গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে আমাকে এটি সস্তায় বিক্রি করতে হচ্ছে।” রিতেশ আরও জানান যে, নতুন বিলাসবহুল গাড়ির দাম এখন অনেক বেশি এবং এর সাথে ৪৫% জিএসটি + সেস-এর অতিরিক্ত খরচও আছে, যা এই নীতিকে আরও কঠোর করে তোলে। তিনি এটিকে ‘সবুজ নীতি’ না বলে ‘শাস্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া
এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, “আমি চাই প্রধানমন্ত্রী মোদিজি নিজে এই সমস্যাটি দেখুন। দিল্লীতে পুরনো গাড়ি বন্ধ করার নিয়মটি সঠিক নয়। সরকারের উচিত পুরনো গাড়ির মালিকদের ভালো ক্ষতিপূরণ দেওয়া অথবা কম কর নেওয়া।”
দিল্লীতে নতুন নীতি
নতুন নীতি অনুযায়ী, ১লা জুলাই থেকে ১০ বছরের পুরনো ডিজেল গাড়ি এবং ১৫ বছরের পুরনো পেট্রোল গাড়িকে পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি ভরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি ফিটনেস টেস্ট পাস করার পরেও এই গাড়িগুলো বৈধ থাকবে না। দিল্লীতে এখন ৩৫০টিরও বেশি পেট্রোল পাম্পে স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট রিকগনিশন (ANPR) ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যাতে এই নীতি মানছে না এমন গাড়িগুলোকে দ্রুত শনাক্ত করা যায়। এর ফলে, প্রায় ৬২ লাখ গাড়ি ‘এন্ড অফ লাইফ’ ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪১ লাখ দুই চাকার এবং ১৮ লাখ চার চাকার গাড়ি রয়েছে।