তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন? পেন্টাগনের চেয়ে ১০ গুণ বড় গোপন সামরিক শহর তৈরি করল, পারমাণবিক হামলায়ও…

ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীন তার রাজধানী বেইজিং থেকে ২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বিশাল এবং গোপন সামরিক শহর নির্মাণ করছে, যা পেন্টাগনের চেয়ে দশ গুণ বড় বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই সেনা ক্যাম্পাস সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রথম প্রকাশ করে ফিনান্সিয়াল টাইমস এবং দ্য সান-এর মতো স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ধারণা, এই স্থানটি কেবল সামরিক কমান্ডের কেন্দ্র নয়, বরং পারমাণবিক যুদ্ধের মতো জরুরি সময়ের জন্য চীনের প্রধান কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই জায়গায় গোপন বাঙ্কার, সুড়ঙ্গের জাল এবং জলরোধী সীমানা প্রাচীরও তৈরি করা হয়েছে। এখানে সাধারণ নাগরিকদের প্রবেশাধিকার নেই, এমনকি ড্রোন বা ক্যামেরার মতো প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহারেরও অনুমতি নেই। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে চীন এই সামরিক প্রকল্পটি বিশ্বের নজর থেকে আড়াল করে রাখতে চায়।
পারমাণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে কেবল পারমাণবিক অস্ত্র থাকাই যথেষ্ট নয়। পারমাণবিক হামলা থেকে আত্মরক্ষার ব্যবস্থা থাকাও সমান জরুরি। এই কারণেই চীন এই বিশাল সামরিক শহরের নিচে বাঙ্কার নির্মাণ করছে। এই বাঙ্কারগুলি যেকোনো পারমাণবিক হামলা সহ্য করার ক্ষমতা রাখে এবং যুদ্ধের সময় কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার হিসেবে কাজ করতে পারে। এমনকি আমেরিকার একজন প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, এই নতুন কেন্দ্রটি ওয়েস্টার্ন হিলস কমপ্লেক্সকে প্রতিস্থাপন করতে পারে, যা বর্তমানে চীনের প্রধান সামরিক সদর দফতর বলে বিবেচিত হয়। এই প্রকল্পটি ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে পূর্ণ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করেছে, যেখানে প্রথমে সুড়ঙ্গ ও রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল, তারপর বাঙ্কার এবং এখন উপরের ভবনগুলি নির্মাণ করা হচ্ছে।
আমেরিকা বনাম চীনের সামরিক প্রতিযোগিতা
পেন্টাগনকে বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি সামরিক ভবন হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু চীনের এই “সামরিক শহর” তার সামনে একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। শি জিনপিং-এর নেতৃত্বে চীন ক্রমাগত তার পারমাণবিক অস্ত্রাগার এবং সামরিক কাঠামো বাড়াচ্ছে। মার্কিন রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী দশকে চীনের পারমাণবিক শক্তি আমেরিকার সমান বা তার চেয়েও বেশি হতে পারে।
চীনের নীরবতা কেন?
চীনা সরকার এই প্রকল্পের অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসগুলি এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। এই সামরিক প্রকল্পটি এতটাই গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন করা হচ্ছে যে এর অস্তিত্ব স্যাটেলাইট ছবি এবং মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকেই নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।