ভালোবাসার অন্য নাম! আবর্জনা কুড়ানো দম্পতিকে ছবি তোলার কথা বলতেই যা ঘটলো, চোখে জল আসবে আপনারও

সম্প্রতি কিছু ঘটনা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে কলঙ্কিত করেছে, যেখানে এই পবিত্র বন্ধন তার সম্মান হারাচ্ছে। এক সময় যেখানে মানুষ বিয়ের স্বপ্ন দেখত, এখন সেখানে অনেকে বিয়ের নাম শুনলেই ভয় পেয়ে যান। এমন এক সময়ে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি এমন একটি দম্পতিকে, যাদের মধ্যে ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং একে অপরের প্রতি যত্ন স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। এই দম্পতি প্রমাণ করেছেন যে, কীভাবে হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও এই সম্পর্ককে সাত জন্ম ধরে বাঁচিয়ে রাখা যায়। তাদের গল্প দেখায় যে, জীবনের কঠিনতম মুহূর্তেও কীভাবে একে অপরের সাথে বাঁচা ও মরা যায়।
এই ভিডিওটি আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। এতে দেখা যাচ্ছে, এক দম্পতি আবর্জনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। একজন ফটোগ্রাফার যখন এই সুন্দর দম্পতিকে থামিয়ে তাদের একসাথে ছবি তোলার অনুমতি চাইলেন, তখন প্রথমে তারা কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। ফটোগ্রাফার তার ইনস্ট্যান্ট ক্যামেরায় তাদের কিছু অসাধারণ ছবি তোলেন এবং তাদের সম্পর্কে জানতে চান। দম্পতি জানান যে, তারা প্রতিদিন সকাল ৫টা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা শুরু করেন এবং দিনের শেষে প্রায় ১৫০ টাকা আয় করেন। যখন ফটোগ্রাফার তাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসার কথা জানতে চান, তখন স্বামী বলেন, “হ্যাঁ, আমরা একে অপরকে খুব ভালোবাসি। উনি ছাড়া আমরা খাই না, আর আমরা ওঁর ছাড়া খাই না।” তাদের এই সরল স্বীকারোক্তি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
ভালোবাসার ছবি এবং মানুষের মন্তব্য
কথা শেষ হতেই ক্যামেরা থেকে ছবি বেরিয়ে আসে এবং ফটোগ্রাফার দম্পতিকে তাদের যুগল ছবির স্মরণীয় মুহূর্তগুলো উপহার দেন, সাথে কিছু টাকাও দেন। আবর্জনা কুড়ানো এই দম্পতির ভালোবাসার গল্প প্রমাণ করে যে, সময় যতই খারাপ হোক না কেন, সঙ্গীর হাত কখনোই ছাড়া উচিত নয়। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পর থেকে মানুষের কাছ থেকে প্রচুর ভালোবাসা এবং মন্তব্য পাচ্ছে। একজন লিখেছেন, “সত্যিই এই সম্পর্কে ভালোবাসাটা খুব জরুরি।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “বাড়তে থাকা শখ আর চাহিদা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে শেষ করে দিয়েছে।” অন্য একজন লিখেছেন, “স্ত্রী এমন হলে স্বামীর রাজা হতে দেরি হয় না।” বহু মানুষ এই দম্পতির ভালোবাসার গল্পের প্রশংসা করেছেন। সম্প্রতি সোনম-রাজার ঘটনার পর অনেকেই বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু এই ভিডিও দেখে অনেকে আবার বিয়ের প্রতি আস্থা ফিরে পেয়েছেন। এই দম্পতি দেখিয়েছেন যে, সত্যিকারের ভালোবাসা যেকোনো পরিস্থিতিকে জয় করতে পারে।