চীনের সীমান্তে ‘দানব’ রোবট! হৃদয় বা মস্তিষ্ক নেই, সরাসরি শত্রুকে শিকার করবে ড্রাগনের ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা!

চীনের সীমান্তে ‘দানব’ রোবট! হৃদয় বা মস্তিষ্ক নেই, সরাসরি শত্রুকে শিকার করবে ড্রাগনের ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা!

ভারত-চীন সীমান্ত: প্রযুক্তিগত দিক থেকে চীন অনেক এগিয়ে গেছে এবং সামরিক শক্তি বাড়াতেও তারা প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে। সাধারণত চীন কোনো দেশের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চললেও, প্রক্সি যুদ্ধের জন্য তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। চীন প্রযুক্তির ব্যবহার করে এমন এক ধরনের অস্ত্র তৈরি করেছে যা সৈন্যদের ব্যবহার কমাবে এবং এর মাধ্যমে তারা মানব ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চাইছে।

চীন বর্তমানে যুদ্ধ যন্ত্রের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে এবং তারা একটি আনম্যানড গ্রাউন্ড ভেহিকেল (UGV) তৈরি করেছে। এটি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। এই UGV যেকোনো জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এর জন্য মাটিতে কোনো মানুষের প্রয়োজন হয় না। চীন UGV-তে প্রচুর বিনিয়োগ করছে এবং হিমালয় অঞ্চলের কথা মাথায় রেখেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। UGV দুর্গম অঞ্চলে সেনাবাহিনীর কাজ সহজ করবে এবং সৈন্যদের চেয়ে দ্রুত এগিয়ে যেতে সক্ষম।

UGV-এর ভয়ঙ্কর বৈশিষ্ট্য এবং চীনের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা
চীন বেশ কয়েকটি UGV তৈরি করেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো শার্প ক্ল (Sharp Claw) এবং শার্প ক্ল ২ (Sharp Claw 2)। শার্প ক্ল-এর ওজন প্রায় ১২০ কিলোগ্রাম এবং এটি ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জে কাজ করতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি পাহাড়েও আরোহণ করতে পারে। এই UGV-তে হালকা মেশিনগান এবং ক্যামেরা সেট করা আছে, যা শত্রুর অবস্থান দেখানোর পাশাপাশি আক্রমণও করতে পারে। শার্প ক্ল ২ কোনো গুহা, বাঙ্কার বা ভবনকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে সক্ষম। চীন চার পায়ের রোবট ডগস (Robot Dogs) এবং উলফ (Wolf) তৈরি করেছে, যদিও এখনো এগুলোকে মাঠে নামানো হয়নি। তবে, শিগগিরই এগুলোর কাজ শেষ করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। এগুলো দানবের মতো দেখতে এবং মারাত্মক আক্রমণ চালাতে সক্ষম।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন তার প্রতিরক্ষা বাজেটের একটি বড় অংশ এআই (AI), রোবোটিক্স এবং আনম্যানড গ্রাউন্ড ভেহিকেলস (UGVs)-এর ওপর ব্যয় করতে পারে। ২০২৪ সালের চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল প্রায় ২২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৫ সালে আরও বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। চীনের এই পদক্ষেপ ভারতের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, কারণ এই রোবটগুলো সীমান্ত সুরক্ষায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *