মুসলমানদের রাস্তায় প্রকাশ্যে প্রার্থনা করার অনুমতি আছে, ব্রিটিশ খ্রিস্টানদের বাইবেল প্রচারের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়?

লন্ডনের রাস্তায় মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রকাশ্যে প্রার্থনার দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলেছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শতাধিক পুরুষ সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হয়ে রাস্তায় প্রার্থনা করছেন। শহুরে পরিবেশে, বাণিজ্যিক ভবনের পাশে এই প্রার্থনার আয়োজন শান্তিপূর্ণ ও সংগঠিত। এই দৃশ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা বা পুলিশি হস্তক্ষেপের চিহ্ন নেই। তবে, এই ঘটনা যুক্তরাজ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রকাশ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, মুসলিমদের এই প্রকাশ্য প্রার্থনা অনুমোদিত হলেও কেন খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকরা বাইবেল প্রচারের জন্য গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হন? এই প্রশ্ন ধর্মীয় স্বাধীনতা ও আইনের প্রয়োগ নিয়ে গভীর বৈষম্যের আলোচনাকে উসকে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের আইনে, ১৯৯৮ সালের মানবাধিকার আইনের অধীনে ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষিত। তবে, এই অধিকারের প্রয়োগে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৯ সালে লন্ডনে এক খ্রিস্টান প্রচারক বাইবেলের আয়াত পাঠের জন্য গ্রেপ্তার হন, যা কিছু মানুষের কাছে আপত্তিকর বলে বিবেচিত হয়। এদিকে, মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রকাশ্য প্রার্থনা প্রায়শই সহনশীলতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়, যদি তা জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত না ঘটায়। এই দ্বিমুখী প্রয়োগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ বলছেন, প্রতিটি ঘটনার প্রেক্ষাপট আলাদা, আবার কেউ মনে করেন, সম্প্রদায়ের আকার ও দৃশ্যমানতা পুলিশের প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। এই বিতর্ক ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সমতার প্রশ্নকে আরও জোরালো করেছে।
British Christians are arrested for preaching the Bible or publicly praying in the street.
— Dr. Maalouf (@realMaalouf) July 3, 2025
But Muslims are allowed to do this.
Why the double standards? pic.twitter.com/c6WGUFzAiX