আইন কলেজে ধর্ষণ: হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ, ভিকটিমের গোপনীয়তা রক্ষার আহ্বান

কলকাতা হাইকোর্ট দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী আইন কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সৌমেন সেন ও স্মিতা দাস দের ডিভিশন বেঞ্চ সরকারকে সিল করা খামে এই তথ্য দাখিল করতে বলেছে। আদালত কলেজ প্রশাসন ও সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, কীভাবে একজন প্রাক্তন ছাত্রী (প্রধান অভিযুক্ত) নির্ধারিত সময়ের পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারলেন এবং কেন সিসিটিভি বা নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব ছিল। এছাড়া, ভিকটিমের পূর্ব হুমকির বিষয়ে পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আদালত গণমাধ্যমকে ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশ না করার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছে, যাতে সংবেদনশীল এই মামলায় গোপনীয়তা বজায় থাকে।
এই মামলায় চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, প্রধান অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন, এবং অন্যরা ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। মিশ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের যুব শাখার সঙ্গে যোগাযোগের তথ্যও সামনে এসেছে। জনস্বার্থ মামলায় অ্যাডভোকেট সৌমা শুভ্রা রায় দাবি করেছেন, এই ঘটনা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রতিফলন। তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তদন্ত এখন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তরিত হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যাতে ভিকটিমের পরিচয় বা অন্য কোনো মেয়ের ছবি প্রকাশ না হয়। এই ঘটনা আইনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।