কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর! স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও সহজ ও দ্রুত

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর! স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও সহজ ও দ্রুত

কেন্দ্র সরকার তার কর্মীদের জন্য সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিম (CGHS) পরিচালনা করে। সম্প্রতি, এই প্রকল্পে পাঁচটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হলো পরিষেবাগুলোকে আরও ডিজিটাল, সহজ এবং স্বচ্ছ করা। এই পরিবর্তনগুলোর সরাসরি সুবিধা পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, পেনশনভোগী এবং তাদের পরিবারবর্গ। এই প্রধান পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

CGHS-এর ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন
১. মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে চিকিৎসার সুবিধা
স্বাস্থ্য মন্ত্রক CGHS-এর জন্য একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই ডাক্তার দেখানো যাবে এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা যাবে। লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হবে না। OPD-এর ডিজিটাল স্লিপ এবং রিপোর্ট অ্যাপেই পাওয়া যাবে। CGHS কার্ডও ডিজিটালি ডাউনলোড করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন এবং রিনিউয়াল ফি অনলাইনে পরিশোধ করার সুবিধাও উপলব্ধ। এই অ্যাপটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং এর লক্ষ্য হলো সুবিধাভোগীদের জন্য পরিষেবা সহজ করা।

২. প্যান কার্ডের সাথে লিংক হবে ইউনিক হেলথ আইডি
এখন CGHS সুবিধাভোগীদের একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হবে, যা প্যান কার্ডের সাথে লিংক করা থাকবে। এর ফলে পুরো পরিবারের মেডিকেল রেকর্ড এক জায়গায় ডিজিটালি সংরক্ষিত থাকবে। বারবার ডকুমেন্ট দেখানোর প্রয়োজন হবে না। রিনিউয়ালের সময় পুরনো রেকর্ড খোঁজার ঝামেলা শেষ হবে। এটি জালিয়াতি এবং প্রতারণা রোধেও সাহায্য করবে।

৩. রেফারেল নিয়মে ছাড়
এখন ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সী CGHS পেনশনভোগীদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে দেখা করার জন্য রেফারেলের প্রয়োজন হবে না। আগে এই সীমা ছিল ৭৫ বছর। বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য রেফারেলের মেয়াদ এখন ৩ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে বয়স্ক রোগীদের বারবার রেফারেল নেওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে।

৪. মেডিকেল ডিভাইসের অনলাইন অনুমোদন
অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, CPAP মেশিনের মতো প্রয়োজনীয় মেডিকেল ডিভাইসের জন্য এখন অনলাইন আবেদন এবং অনুমোদনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আগে এই প্রক্রিয়াটি ওয়েলনেস সেন্টারে গিয়ে সম্পন্ন করতে হতো। অনুমোদনে ২০ দিন লাগত, এখন মাত্র ৫ দিনে অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে। এতে সময় এবং সুবিধা উভয়ই বাঁচবে।

৫. SMS এবং ইমেলের মাধ্যমে প্রতিটি আপডেট
CGHS সম্পর্কিত প্রতিটি প্রক্রিয়া, যেমন – আবেদন, অনুমোদন, পেমেন্ট। এখন এই সমস্ত তথ্য সরাসরি সুবিধাভোগীর মোবাইলে SMS এবং ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো হবে। এর জন্য HMIS পোর্টালে একবার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং অ্যালার্টের সুবিধাটি সক্রিয় করতে হবে। এতে সুবিধাভোগীকে বারবার অফিসে যেতে বা হেল্পলাইনে কল করার প্রয়োজন হবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *