কেরলে আটকে থাকা ব্রিটিশ ফাইটার জেটকে কি ফিরিয়ে নেওয়ার আগে ভেঙে ফেলা হবে? C-17 গ্লোবমাস্টারে কিভাবে ফিট হবে?

কেরলে আটকে থাকা ব্রিটিশ ফাইটার জেটকে কি ফিরিয়ে নেওয়ার আগে ভেঙে ফেলা হবে? C-17 গ্লোবমাস্টারে কিভাবে ফিট হবে?

ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির F-35B বিমানটিকে কেরল থেকে C-17 গ্লোবমাস্টার নামক পরিবহন বিমানের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে। এখনও পর্যন্ত ফিল্ড মেরামতের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। F-35B বিমানটি ১৯ দিন আগে তিরুবনন্তপুরমে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই অবতরণ করেছিল।

তবে, F-35B বিমানটিকে পরিবহন বিমান C-17 গ্লোবমাস্টারে ফিট করা একটি বড় চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম নয়। আসুন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবকিছু বুঝে নেওয়া যাক।

F-35B পরিবহন: চ্যালেঞ্জ এবং নিরাপত্তা উদ্বেগ
বিমানের অংশ বিচ্ছিন্ন করা: C-17 গ্লোবমাস্টারে ফিট করার জন্য F-35B বিমানটিকে ভেঙে ফেলতে হবে। শুধুমাত্র অ্যারোস্পেস এবং প্রতিরক্ষা সংস্থা লকহিড মার্টিন দ্বারা প্রশিক্ষিত প্রকৌশলীরাই এটি করতে সক্ষম। অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তির এই স্টিলথ ফাইটার জেটটিকে বিচ্ছিন্ন করার সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে এর উপর কঠোর নজর রাখতে হবে।

নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা: প্রতিটি পদক্ষেপ রেকর্ড করা হবে এবং যাচাই করা হবে। ডেটা লঙ্ঘনের ঝুঁকি কমাতে প্রতিটি অংশ সুরক্ষার সাথে কোডের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে। স্টিলথ প্রযুক্তির চুরি হলে গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয়তা ফাঁস হতে পারে। এতে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে বিপদ সৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য স্টিলথ প্রযুক্তির সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পূর্ববর্তী ঘটনা: ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথমবারের মতো F-35-এর ডানা আকাশপথে সরিয়ে পাঠানো হয়েছিল। ফ্লোরিডার এগলিন এয়ার ফোর্স বেসে C-17 গ্লোবমাস্টার দ্বারা F-35 লাইটনিং II বিমানটি এয়ারলিফ্ট করা হয়েছিল। এগলিন এএফবি-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২ লক্ষ ডলার ব্যয়ের চার বছরের এই মিশনটি বিমানটিকে হিল এএফবি, ইউটা পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার সাথে সাথে সম্পূর্ণ হয়েছিল।

F-35-এর ক্ষমতা: F-35-এ উন্নত স্টিলথ আবরণ এবং রাডার প্রতিরোধক রয়েছে। এটি আধুনিক আকাশ যুদ্ধের জন্য এনক্রিপ্টেড সফটওয়্যার এবং সেন্সরের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ডেটা ফিউশন ব্যবহার করে। এই যুদ্ধবিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে। F-35-এর বিদেশি প্রবেশাধিকার এই বিমান ব্যবহারকারী দেশগুলোর জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

ব্যয়বহুল সামরিক প্রকল্প: F-35 এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল সামরিক প্রকল্প, যার মূল্য ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক, যেকোনো পরিস্থিতিতে লড়াই করতে সক্ষম এবং সংযুক্ত ফাইটার জেটও বটে। F-35 পাইলটরা যেকোনো শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সর্বদা এগিয়ে থাকেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *