ভারতে দারিদ্র্য কত কমেছে?

বিশ্বব্যাংকের এই রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে দারিদ্র্যের হার ২০১১-১২ সালের ২৭.১% থেকে কমে ২০২৩-২৪ সালে ৫.৩%-এ দাঁড়িয়েছে। এই রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক তাদের দারিদ্র্যসীমা সংশোধন করে ২০২১ সালের মূল্যের ভিত্তিতে প্রতিদিন ৩ ডলার নির্ধারণ করেছে, যা আগের ২.১৫ ডলারের সীমা থেকে ১৫% বেশি। এই নতুন মানদণ্ড অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতে প্রতিদিন ৫.৪৪ কোটি মানুষ ৩ কোটি ডলারের কম আয় নিয়ে জীবনযাপন করছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের হারও কমেছে এবং এটি ১৬.২% থেকে কমে ২.৩%-এ নেমে এসেছে। এর ফলে প্রায় ১৭.১ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছেন। গ্রামীণ এবং শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্র্যের সংখ্যা কমেছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পাঁচটি সবচেয়ে জনবহুল রাজ্যে ৫৪% অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ বাস করে।
কত মানুষ ধনী হয়েছেন?
ভারতের ধনীদের কথা বলতে গেলে, মার্চ ২০২৫-এ প্রকাশিত নাইট ফ্রাঙ্কের ‘দ্য ওয়েলথ রিপোর্ট ২০২৫’ (The Wealth Report 2025)-এ বলা হয়েছে যে, এখানে ধনীদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগামী কয়েক বছরে ধনীর সংখ্যা আরও বাড়ার অনুমান করা হচ্ছে।
ভারতে হাই নেটওয়ার্থ ইন্ডিভিজুয়ালস (HNWIs), অর্থাৎ যাদের ১০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৭ কোটি টাকা) এর বেশি সম্পত্তি রয়েছে, তাদের সংখ্যা ২০২৮ সালের মধ্যে ৯৩,৭৫৩-এর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ৮০,৬৮৬ থেকে বেড়ে ৮৫,৬৯৮ হয়েছে। আগামী চার বছরে এতে প্রায় ৮০০০ এর বেশি নতুন ধনী যুক্ত হওয়ার অনুমান করা হচ্ছে। এটি ভারতের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধিকে নির্দেশ করে এবং ভারতও এখন বিশ্বের সম্পদ সৃষ্টিকারী দেশগুলোর মধ্যে গণ্য হচ্ছে।