১০ হাজার কোটিতে আসছে অত্যাধুনিক গুপ্তচর বিমান, চি-পাক কৌশল হবে নিষ্ফল

ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ইন্টেলিজেন্স, সার্ভিল্যান্স, টার্গেটিং অ্যান্ড রিকনসাঁস (I-STAR) কর্মসূচির অধীনে তিনটি অত্যাধুনিক গুপ্তচর বিমান কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা এই বিমানগুলি ডিআরডিও-র সেন্টার ফর এয়ারবর্ন সিস্টেমস দেশীয় প্রযুক্তিতে আরও শক্তিশালী করবে। এই বিমানগুলিতে থাকবে উন্নত রাডার ব্যবস্থা যা ২৫০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে শত্রুর কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে সক্ষম। এছাড়াও এগুলি শত্রু রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অবস্থান চিহ্নিত করতে পারবে।
এই নতুন গোয়েন্দা বিমানগুলি চীন ও পাকিস্তানের সীমান্তে রিয়েল-টাইম তথ্য সরবরাহ করে ভারতীয় সামরিক অভিযানকে সহায়তা করবে। দিনে বা রাতে, মেঘ বা ধুলোঝড়ের মধ্যেও স্থলভাগের গতিবিধি ট্র্যাক করার ক্ষমতা এদের আছে। এগুলি নেটওয়ার্ক-সেন্ট্রিক যুদ্ধ সক্ষমতা বাড়িয়ে গ্রাউন্ড কমান্ড এবং ফাইটার জেটগুলিতে তাৎক্ষণিক তথ্য পাঠাবে, যার ফলে সুনির্দিষ্ট আক্রমণ সম্ভব হবে। পাকিস্তান এবং চীনের যেকোনও সামরিক প্রস্তুতি, যেমন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বা ড্রোন হামলা, আগেই ট্র্যাক করা যাবে, যা ভারতের নিরাপত্তা জোরদার করবে।