সম্প্রতি শেষ হওয়া ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর পর ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজেদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনা করছে। এই সামরিক সংঘাতে চীন ও তুরস্কের সহযোগিতায় পাকিস্তানের ভারতকে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টা দেখা গেছে। ‘অপারেশন সিন্দূর’ ছিল একটি চার দিনের সামরিক সংঘাত, যেখানে ভারত বাস্তব পরিস্থিতিতে নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখেছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে ভারত তার ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করছে এবং ভবিষ্যতের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে বিশ্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, সে বিষয়েও বিশ্লেষণ চলছে।

ফিকি আয়োজিত ‘নিউ এজ মিলিটারি টেকনোলজিস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ (ক্যাপাবিলিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাস্টেনেন্স) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাহুল আর সিং জানিয়েছেন যে, ভারতকে তার C4ISR (কমান্ড, কন্ট্রোল, কমিউনিকেশনস, কম্পিউটারস, ইন্টেলিজেন্স, সারভেইল্যান্স অ্যান্ড রিকনেসান্স) এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য পাচ্ছিল, যা ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়। ইসরায়েলের শক্তিশালী আয়রন ডোম এবং আমেরিকার গোল্ডেন ডোম-এর মতো ব্যবস্থা থাকলেও, ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশকে সুরক্ষিত রাখতে আরও ব্যাপক এবং শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।