রাতভর সঙ্গ দিল ‘সে’, ঘরে ফিরতেই উধাও স্বামী! আজও কাঁপে কোঙ্কন

রাতভর সঙ্গ দিল ‘সে’, ঘরে ফিরতেই উধাও স্বামী! আজও কাঁপে কোঙ্কন

কোঙ্কন অঞ্চলে রাতের বেলায় নানা অলৌকিক ঘটনার কথা শোনা যায়, যেখানে তারাদের পাহারায় যেন ভূতের আনাগোনা চলে। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে এমন অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়, তাঁদের জীবনে প্রায়শই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। তবে কিছু অভিজ্ঞতা এতটাই ভয়াবহ হয় যে তার শিকার হওয়া ব্যক্তি নিজেও একসময় স্মৃতিতে মিলিয়ে যান। তেমনই এক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছিল কোঙ্কনের মহাসালা তালুকে।

মহাসালা তালুকের কোণ্ডাভলি গ্রামের এক দম্পতি তাঁদের বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস করতেন। ছেলে বিমল কর্মসূত্রে মুম্বাইয়ে থাকত। একবার ছুটি পাওয়ায় সে রাতের বাসে মুম্বাই থেকে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ২টার দিকে সে গ্রামের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। চারদিকে তখন ঘুটঘুটে অন্ধকার আর তার বাড়িও স্টেশন থেকে বেশ দূরে। সেই অন্ধকারে বিমল বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করে। কিছুদূর যাওয়ার পর সে দেখতে পায় একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি লাঠি হাতে ধীরে ধীরে হাঁটছেন। বিমল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে লোকটির কাছে ছুটে যায়। দুজনে হাসতে হাসতে বাড়ির দাওয়ায় এসে দাঁড়ায়। বিমল দরজা ঠোকে, তার স্ত্রী বেরিয়ে আসে এবং বিমলকে দেখে খুব খুশি হয়। বিমল তার স্ত্রীকে বৃদ্ধ লোকটির জন্য জল আনতে বলে। বিমলের স্ত্রী ভেতর থেকে এক ঘটি জল নিয়ে এসে বাইরে তাকিয়েই চিৎকার করে ওঠে। তার হাত থেকে সব কিছু পড়ে যায়, কারণ বাইরে তার চোখের সামনে বিমল মৃত অবস্থায় পড়েছিল। এটি খুন ছিল না, কারণ তার শরীরে কোনো শিয়াল বা বন্যপ্রাণীর কামড়ের মতো ক্ষত ছিল না। এরপর থেকে বলা হয় যে, মহাসালা তালুকের কোণ্ডাভলি বাসস্ট্যান্ডে আজও নাকি রাতে বিমলকে হাঁটতে দেখা যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *