তাক লাগালো ভারত, সমতার দৌড়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল

বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক রিপোর্টে ভারত আবারও তার অগ্রগতি দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে। এবার কোনো সামরিক শক্তি, চন্দ্র অভিযান বা জিডিপি নয়, বরং সমতার (Equality) ক্ষেত্রে ভারত এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ সর্বাধিক সমতাপূর্ণ দেশ (4th most equal society) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
এই তালিকায় ভারত শুধু G7 দেশগুলোকেই নয়, প্রতিবেশী এবং পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ চীনকেও (গিনি সূচক 33.7) পেছনে ফেলেছে। ভারতের এই অসাধারণ সাফল্য কীভাবে সম্ভব হলো, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ভারতের সমতার জয়যাত্রা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ভারতের গিনি সূচক বর্তমানে 25.5, যা সমতার বিচারে অত্যন্ত ইতিবাচক। গিনি সূচক যত কম হয়, সমাজে সমতা তত বেশি বলে ধরা হয়। এই তালিকায় ভারতের সামনে রয়েছে কেবল স্লোভাক রিপাবলিক (24.1), স্লোভেনিয়া (24.3) এবং বেলারুশ (24.4)। উল্লেখযোগ্যভাবে, আমেরিকা (41.8), যুক্তরাজ্য (34.4), জাপান (32.9) সহ সমস্ত G7 দেশ ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে। দারিদ্র্য হ্রাসেও ভারত নজিরবিহীন সাফল্য দেখিয়েছে; ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৭ কোটি ১০ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যসীমার বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন $2.15 ডলারের কম আয়ে জীবনযাপন করা মানুষের সংখ্যা ১৬.২% থেকে কমে ২.৩% এ দাঁড়িয়েছে।
ভারতের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে জনধন যোজনা, আধার, ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (DBT), আয়ুষ্মান ভারত, পিএম বিশ্বকর্মা এবং স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়ার মতো যুগান্তকারী প্রকল্পগুলো। এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে, সরকারি পরিষেবা বিতরণে স্বচ্ছতা এসেছে, এবং দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।