গত কয়েক বছর ধরে জৈবিক অস্ত্র নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষত কোভিড-১৯ এর মতো মহামারী যখন পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে, তখন এই আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে যে, ভবিষ্যতে সামরিক ও প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী কোনো দেশ, যেমন চীন, হয়তো যুদ্ধে মারাত্মক ভাইরাস ব্যবহার করতে পারে। এই প্রসঙ্গে অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও গোয়েন্দা সংস্থা জৈবিক অস্ত্রের প্রস্তুতি নিয়ে গুরুতর সতর্কতা জারি করেছে।

জৈবিক অস্ত্র হলো এমন প্রাণঘাতী সরঞ্জাম, যেখানে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অণুজীবকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এগুলো বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো একবারে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায় না, বরং ধীরে ধীরে এবং ব্যাপক আকারে মানব জীবনকে প্রভাবিত করে। একবার ছড়িয়ে পড়লে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে এবং যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। চীনের উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’র মতো উন্নত জৈব গবেষণাগারগুলো নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে, যা এই উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।