বাসররাতেই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার নববধূর! সাফ জানাল, প্রেমিকের সঙ্গেই থাকবে, নয়তো…

উত্তর প্রদেশের আলিগড় জেলায় এক নববধূ শ্বশুরবাড়ি পৌঁছনোর পর বাসররাতেই স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকার করে। একই সঙ্গে সে মুসকান ও সোনমের মতো ঘটনা ঘটানোর হুমকিও দেয়। নববধূ জানায় যে, তার বিয়ে জোর করে দেওয়া হয়েছে এবং সে তার প্রেমিকের সঙ্গেই থাকবে। নববধূর কথা শুনে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হতবাক হয়ে যায়। দ্রুত থানায় গিয়ে তারা অভিযোগ করে, “সাহেব! আমাদের বাঁচান, আমাদের পুত্রবধূ খুনের হুমকি দিচ্ছে।”
ঘটনাটি ঠিক কী?
জানা গেছে, ঘটনাটি রোরাভর থানা এলাকার। জীবনগড়ের এক যুবকের সঙ্গে ২২শে জুন আলাহাদপুর নিভারের এক তরুণীর বিয়ে হয়। ধুমধাম করে তাদের নিকাহ সম্পন্ন হয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। উভয় পরিবারেই আনন্দের পরিবেশ ছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছতেই নববধূ তার মেজাজ দেখাতে শুরু করে। স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কথায় সে মুসকান ও সোনমের মতো ঘটনা ঘটানোর কথা উল্লেখ করে। এতে স্বামী ভয় পেয়ে যায়। ঘাবড়ে গিয়ে সে পরিবারের লোকজনকে সব কথা জানায়। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুত্রবধূর মাকে ডেকে আনেন। তিনিও মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
পুত্রবধূকে নিয়ে থানায় পৌঁছল শ্বশুরবাড়ির লোকজন
শেষ পর্যন্ত যখন পুত্রবধূ রাজি হয়নি, তখন নববধূর বাবা-মা এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে রোরাভর থানায় পৌঁছয়। সেখানে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ভীত কণ্ঠে বলে, “আমাদের পুত্রবধূ থেকে আমাদের বাঁচান, সে ছেলেকে মারার কথা বলছে।” এরপর কোতয়াল শিব শঙ্কর গুপ্তা যখন নববধূর সঙ্গে কথা বলেন, তখন সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে তার বিয়ে জোর করে দেওয়া হয়েছে। সে তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে চায়। এই বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে যে, তরুণীর প্রেমিককে কোতোয়ালিতে ডাকা হয়েছে। দুজনের সঙ্গে কথা বলার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।