ইরানের মাটিতে কি কাঁপছে মাটি? আজ খোমেনি-র বড় ঘোষণা, শঙ্কায় ইজরায়েল-আমেরিকা!

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে আপেক্ষিক শান্তি বজায় থাকলেও, চাপা উত্তেজনা পুরোদমে বিরাজ করছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি প্রকাশ্যে এসেছেন। তবে ইরানের পরমাণু মিশন কোন গোপন আস্তানায় চলছে, তা কেউ জানে না। যা ঘটছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে তেহরান পরমাণু বোমা তৈরি করবেই। আমেরিকা ও ইজরায়েলের অস্ত্রাগার অকেজো প্রমাণিত হয়েছে, কারণ ইরান তার সিদ্ধান্তে অটল এবং ভয় না পেয়ে ইজরায়েলকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছে।
ইরান থেকে আইএইএ (IAEA)-এর টিমকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং পরমাণু মিশন নিয়ে তারা খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। শনিবার আশুরার শোকানুষ্ঠানের মাধ্যমে খোমেনি প্রথমবার প্রকাশ্যে এলেন, যা ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার প্রথম জনসম্মুখে উপস্থিতি। ধারণা করা হচ্ছে, আজ রবিবার মহররমের ১০ম দিনে ইরান তাদের পরমাণু পরীক্ষা চালাবে এবং এর সাথেই খোমেনি তার গোপন আস্তানা থেকে বেরিয়ে এসে বড় ঘোষণা দিতে পারেন।
ইরানের গোপন পরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
খোমেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন বা ইরানের পরমাণু মিশনের গোপন আস্তানা কোথায়, তা নিয়ে দুটি বড় রহস্য রয়ে গেছে। এমনকি আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশের গোয়েন্দা সংস্থাও খোমেনির গোপন পরিকল্পনার আঁচ করতে পারেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টও স্বীকার করেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে সাময়িক ধাক্কা লাগলেও, তারা অন্য কোথাও কাজ আবার শুরু করতে পারে। ইরান পরিদর্শন বা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি নয়, এবং আমেরিকা জানে যে সমৃদ্ধকরণের কাজ চলছে, কিন্তু কোথায় তা কেউ জানে না।
ধারণা করা হচ্ছে, ইরান হঠাৎ করেই নিজেদের পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারে এবং এর জন্য পরমাণু পরীক্ষা চালাবে। শিয়া দেশগুলোও ইরানের প্রতি সমর্থন বাড়িয়ে শিয়া ঐক্যের দিকে এগিয়ে আসছে। ইরাক, আজারবাইজান, লেবানন, বাহরাইন, ইয়েমেনের মতো শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো ইহুদিদের বিরুদ্ধে একত্রিত হচ্ছে এবং ইরানকে সমর্থন করছে। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং মার্কিন সিআইএ (CIA) ইরানের গোপন আস্তানার খোঁজ পায়নি। মোসাদের প্রধান আবারও দাবি করেছেন যে তারা ইরানের হুমকি বাড়তে দেবেন না এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু ইজরায়েল কি ইরানের ওপর আবারও হামলা করার সাহস দেখাবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।