৪২৭৫ কোটি টাকার জেট! রাফাল ও F-৩৫-কেও টেক্কা, এই বিমানের গর্জনে কাঁপছে বিশ্ব!

৪২৭৫ কোটি টাকার জেট! রাফাল ও F-৩৫-কেও টেক্কা, এই বিমানের গর্জনে কাঁপছে বিশ্ব!

ইজরায়েল-হামাস, ইজরায়েল-ইরান এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব পরিস্থিতিকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। এই সংঘাতের কারণে সামরিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যার ফলে বিশ্ব দুটি শিবিরে বিভক্ত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের মতো দেশগুলোর জন্য তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, নতুন অস্ত্রের প্রয়োজন এবং কৌশলগত অংশীদারদের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা কেনার প্রয়োজনীয়তাও অনুভূত হচ্ছে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কয়েক দশকের পুরোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশে ভারতের জন্য তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা অপরিহার্য। ভারতীয় বিমানবাহিনীতে এখনো যুদ্ধবিমানের ঘাটতি রয়েছে, যা দূর করার চেষ্টা চলছে। ভারত বিদেশি অংশীদার দেশগুলো থেকে ফাইটার জেট আমদানি করছে এবং দেশীয়ভাবে যুদ্ধবিমানের উৎপাদন বাড়ানোর দিকেও পদক্ষেপ নিচ্ছে। বর্তমানে ভারত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সন্ধানে রয়েছে এবং এই লক্ষ্যে AMCA (Advanced Medium Combat Aircraft) প্রকল্প চালু করেছে, যার উদ্দেশ্য একটি দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের বিমান তৈরি করা। এরই মধ্যে, ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যেখানে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের প্রোটোটাইপ ডিজাইন তৈরির জন্য ১৫,০০০ কোটি টাকার প্রাথমিক তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।

Tu-160M বম্বার জেট: ভারতের নতুন সামরিক শক্তি
ভারত সম্প্রতি বাঙ্কার বাস্টার মিসাইল সিস্টেম তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এই সিস্টেমটি ক্ষেপণাস্ত্র-ভিত্তিক হবে, কারণ ভারতের কাছে রাশিয়া বা আমেরিকার মতো অত্যাধুনিক বম্বার জেট নেই। এই প্রযুক্তিগত উদ্যোগের অধীনে, ভারত তার অগ্নি-৫ ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলকে বাঙ্কার বাস্টার হিসেবে তৈরি করছে। একই সঙ্গে, ভারত রাশিয়া থেকে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক বম্বার জেট টুপোলেভ Tu-160M অর্জনের চেষ্টা করছে। এই বিমানটি “হোয়াইট সোয়ান” নামে পরিচিত এবং ন্যাটোর দ্বারা এটি “ব্ল্যাকজ্যাক” নামে পরিচিত। যদি ভারত Tu-160M বম্বার জেট অর্জন করতে সফল হয়, তাহলে এটি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কৌশলগত ভারসাম্য ভারতের পক্ষে আনতে সক্ষম হবে।

Tu-160M একটি সুপারসোনিক জেট, যা ঘণ্টায় ১২০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে। এই জেটটি শুধুমাত্র প্রচলিত বিস্ফোরকই নয়, পারমাণবিক পেলোডও বহন করতে সক্ষম, যা এটিকে একটি শক্তিশালী এবং বিপজ্জনক বম্বার করে তোলে। রাশিয়ার Tu-160M বম্বার জেট তার বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিমানগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই বিমানটি একসঙ্গে ৪০ টন পেলোড (৪০,০০০ কেজি বিস্ফোরক) বহন করতে সক্ষম, যা শত্রুর আস্তানায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারবে। এই বিশাল পেলোডের কারণে, এটি রাফাল এবং F-35-এর মতো অন্যান্য যুদ্ধবিমানের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। যদি ভারত Tu-160M অর্জন করতে সফল হয়, তবে এটি চীনের সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র প্রমাণিত হতে পারে এবং এশিয়া অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *