শ্বশুর-পুত্রবধূ মাঠে আপত্তিকর অবস্থায়, ছেলে দেখে ফেলায় যা ঘটল… শিউরে উঠল গ্রাম!

শ্বশুর-পুত্রবধূ মাঠে আপত্তিকর অবস্থায়, ছেলে দেখে ফেলায় যা ঘটল… শিউরে উঠল গ্রাম!

ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁও থেকে এক মর্মান্তিক খবর সামনে এসেছে। এখানে এক ব্যক্তি নিজের বাবা ও স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। এই ঘটনায় বাবার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রায়পুর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুত্রকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে।

মাঠে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে হামলা
ঘটনাটি খড়গাঁও থানা এলাকার কাট্ঠাপার গ্রামের। এখানে শ্বশুর এবং পুত্রবধূর মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ছেলে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেললে তার রাগ সপ্তমে ওঠে। এরপর সে বাবা এবং স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। দুজন চিৎকার করতে থাকে, কিন্তু ছেলে মারতেই থাকে। এর ফলে বাবার মৃত্যু হয় এবং স্ত্রী গুরুতর আহত হন। পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে।

খড়গাঁওয়ের টিআই সঞ্জয় যাদব জানিয়েছেন যে, রবিবার খবর পাওয়া যায় কাট্ঠাপার গ্রামে এক গ্রামবাসী খুন হয়েছেন। পুলিশ দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে জঙ্গল যাওয়ার রাস্তায় পরদেশী রাম নুরেটির রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। তদন্তে জানা যায় যে, পরদেশী রামকে তার পুত্র অরুণ কুমার নুরেটি হত্যা করেছে। পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অরুণ পুলিশকে জানায় যে, তার বাবা এবং স্ত্রীর মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল।

কেন এই নির্মম ঘটনা?
অভিযুক্ত গ্রামের কাছে অবস্থিত দুলকি মাইনে কাজ করে। রবিবার সে কাজ করতে মাইনে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখে তার স্ত্রী মেহরো বাই বাড়িতে নেই, ক্ষেতের দিকে গেছে। অভিযুক্ত নিজে রান্না করে বাচ্চাদের খাওয়ায় এবং নিজেও খাবার খায়। এরপর সে স্ত্রী মেহরো বাই এবং বাবা পরদেশী রাম নুরেটিকে খুঁজতে ক্ষেতের দিকে যায়। সেখানে সে তার বাবা এবং স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

হাতে রাখা লাঠি দিয়ে দুজনকে এলোপাথাড়ি আক্রমণ করে। মারধরের কারণে বাবার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, তার স্ত্রী মেহরো বাই গুরুতর আহত হন। মেহরো বাইকে রায়পুর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে ধারা ১০৩(১), ১১৫(২) এর অধীনে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *