নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মহুয়া মৈত্র ইসিআই (ECI)-এর সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, যেখানে বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা (Special Intensive Revision) অর্থাৎ বিশেষ সংশোধনের কথা বলা হয়েছে।

পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে এই আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করুক এবং ইসিআইকে নির্দেশ দিক যে তারা দেশের অন্য রাজ্যগুলিতেও এমন কোনো আদেশ জারি না করে। মহুয়া মৈত্রের অভিযোগ, এই আদেশ স্বেচ্ছাচারী, অসাংবিধানিক এবং গরিব, মহিলা এবং পরিযায়ী ভোটারদের ভোটাধিকার প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

সম্প্রতি কেন আলোচনায় ছিলেন মহুয়া
সম্প্রতি মহুয়া মৈত্র তখন আলোচনায় এসেছিলেন, যখন তিনি প্রাক্তন বিজু জনতা দল সাংসদ এবং সিনিয়র আইনজীবী পিনাকী মিশ্রের সাথে বার্লিনে বিয়ে করেছিলেন। এছাড়াও তিনি তখনো আলোচনায় ছিলেন, যখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়া মৈত্র সম্পর্কে ব্যক্তিগত মন্তব্য করে বিতর্কিত কিছু বলেছিলেন। বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে মহুয়া মৈত্র নতুন বিয়ে করে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন এবং দ্রুতই তার মধুচন্দ্রিমা থেকে ফিরে এসে আমার উপর আক্রমণ করেছেন। তিনি মহুয়ার বিরুদ্ধে “একটি পরিবার ভাঙার” অভিযোগও করেছিলেন।

মহুয়া মৈত্র কে?
মহুয়া মৈত্র একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)-এর একজন বিশিষ্ট নেত্রী। তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ এবং তার স্পষ্টভাষী শৈলী এবং কেন্দ্র সরকারের নীতির কড়া সমালোচনার জন্য পরিচিত। তার রাজনৈতিক যাত্রা, শিক্ষাগত পটভূমি এবং বিতর্ক তাকে জাতীয় স্তরে আলোচনায় রেখেছে।

মহুয়া মৈত্রর জন্ম ১৯৭৪ সালের ১২ অক্টোবর আসামের কাছাড় জেলার লাবাখে একটি বাঙালি হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারে। তার বাবার নাম দ্বিপেন্দ্র লাল মৈত্র এবং মায়ের নাম মঞ্জু মৈত্র। তিনি কলকাতার গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের মাউন্ট হলোক কলেজ থেকে অর্থনীতি ও গণিতে স্নাতক হন।

রাজনীতিতে প্রবেশের আগে, মহুয়া জেপি মরগান চেজ-এ বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে নিউইয়র্ক এবং লন্ডনে কাজ করেছেন, যেখানে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট (Vice President) পদে উন্নীত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে, তার কলেজের ১০ম পুনর্মিলনীর সময়, তিনি ব্যাংকিং ছেড়ে ভারতে জনসেবায় আসার সিদ্ধান্ত নেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *