১ টাকার নোটের বদলে ১০ লাখ টাকা খোয়ালেন, গল্প শুনলে চমকে যাবেন!

সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল স্ক্রল করার সময় আপনার চোখে নিশ্চয়ই এমন কোনো রিল বা পোস্ট পড়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে পুরোনো মুদ্রা বা নোটের বদলে আপনি মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন। এই দাবিগুলো কতটা সত্যি, তা জানা যায় না, কিন্তু মুম্বাইয়ের এক ব্যক্তি এমনই এক দাবির ওপর ভরসা করে ১০ লাখ টাকা হারিয়েছেন। ঠিক কী ঘটেছে? আসুন, জেনে নিই।
আজতকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ পশ্চিমে বসবাসকারী ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি সাইবার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি পুলিশকে জানান যে, ২৩ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল দেখতে গিয়ে একটি বিজ্ঞাপনের উপর তার নজর পড়ে। বিজ্ঞাপনটিতে দাবি করা হয়েছিল যে, ১ টাকার নোট আনলে ৪.৫৩ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও ছিল। ওই ব্যক্তি জানান যে তার কাছে ১ টাকার নোট ছিল, তাই তিনি সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে নোটের ছবি পাঠান। এরপর অপর প্রান্ত থেকে একজন ব্যক্তি তার সাথে যোগাযোগ করেন, যিনি নিজের নাম পঙ্কজ সিং বলে জানান।
রেজিস্ট্রেশনের নামে টাকা আদায়, তারপর আরও বড় ফাঁদ
পঙ্কজ জানান যে তিনি মুদ্রা বিক্রির দোকানে কাজ করেন। তিনি ভুক্তভোগী ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ফর্ম পূরণ করান এবং রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ৬,১৬০ টাকা জমা দিতে বলেন। পুলিশ জানিয়েছে যে, কিছুদিন পর পঙ্কজ অভিযোগকারীকে আবারও ফোন করে বলেন যে, আগে জানানো অ্যামাউন্ট ভুল ছিল এবং এখন তাকে আরও ৬,১০৭ টাকা ট্রান্সফার করতে হবে। তবে, পঙ্কজ প্রতিশ্রুতি দেন যে, আগে ট্রান্সফার করা টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এরপর পঙ্কজ সিং অভিযোগকারীকে অন্য একজন ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, যিনি নিজের নাম অরুণ শর্মা বলে জানান।
অরুণ ভুক্তভোগীকে ১ টাকার নোটের বদলে পুরস্কার জেতার স্কিম বোঝান এবং আরবিআই (RBI)-এর নামে একটি ভুয়া চিঠি পাঠান। এরপর তারা দুজন ক্যাশিয়ারকে কথার জালে ফাঁসিয়ে ধীরে ধীরে ১০.৩৮ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। পুলিশ জানিয়েছে যে, ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন, যখন জালিয়াতরা বলে যে, যদি তিনি আরও ৬ লাখ টাকা দেন, তাহলে পুরস্কারের অঙ্ক ২৫.৫৬ লাখ টাকা হতে পারে। এরপর ভুক্তভোগী পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। ভুক্তভোগী ব্যক্তি একটি বীমা কো ম্পা নির চার্চগেট শাখার ক্যাশিয়ার। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি আইন (IT Act) এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত চলছে।