পৃথিবী কি দ্রুত ঘুরছে? বিজ্ঞানীরা যা বললেন, তা শুনে আপনারও চোখ কপালে উঠতে পারে!

পৃথিবী কি দ্রুত ঘুরছে? বিজ্ঞানীরা যা বললেন, তা শুনে আপনারও চোখ কপালে উঠতে পারে!

পৃথিবী তার ঘূর্ণন গতি বাড়িয়ে দিচ্ছে, এবং দিনের দৈর্ঘ্য এখন মিলিসেকেন্ডে ছোট হচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনে এই পরিবর্তন হয়তো তেমন চোখে পড়বে না, কিন্তু বৈশ্বিক সময় নির্ধারণের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা ২০২০ সাল থেকে এই প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করছেন, এবং এটি সমন্বিত সার্বজনীন সময় (UTC)-এ সম্ভাব্য সমন্বয় সাধনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পৃথিবীতে একটি দিনের সময়কাল সাধারণত ৮৬,৪০০ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টা হয়, তবে এটি পরিবর্তনশীল। লাখ লাখ বছর ধরে, চাঁদের মহাকর্ষীয় টান এবং জোয়ারের মতো প্রাকৃতিক শক্তির কারণে গ্রহের ঘূর্ণন ধীরে ধীরে ধীর হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে, ডাইনোসরের সময়ে একটি দিন প্রায় ২৩ ঘণ্টা দীর্ঘ ছিল। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে, পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য অবশেষে ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তে পারে, তবে এতে ২০০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।

কারণ কী?
বিজ্ঞানীরা এখনও এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তারা ভূমিকম্পের পরিবর্তন, গ্রহের তরল কেন্দ্রে ভিন্নতা এবং পৃথিবীর কৌণিক গতির ভিন্নতার মতো কারণগুলি তদন্ত করছেন। চাঁদের প্রভাব এখনও বিদ্যমান, তবে অভ্যন্তরীণ গতিশীলতাও এতে জড়িত থাকতে পারে। মিডিয়া এই বিষয়ে সতর্কতার ঢোল পিটিয়েছে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা কোনো সর্বনাশ সম্পর্কে সতর্ক করছেন না। পৃথিবীর ঘূর্ণন আগেও পরিবর্তিত হয়েছে এবং দীর্ঘ মেয়াদে তা নিজেই ঠিক হয়ে যায়।

যদি এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তবে ২০২৯ সালে পৃথিবীর ঘূর্ণনের সাথে তাল মেলাতে পারমাণবিক সময় বজায় রাখার জন্য ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লিপ সেকেন্ড (Leap Second) অপসারণ করা হতে পারে। অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট পারমাণবিক ঘড়ি এই ছোট ছোট ওঠানামা রেকর্ড করছে, এবং বিজ্ঞানীরা এই প্রবণতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *