ভিন্ন সম্প্রদায়ের ছেলের দ্বারা ধর্ষণ, তিন দিন পর উদ্ধার নাবালিকা, বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা

উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের নাগফানি থানা এলাকায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার ঝুলন্ত দেহ ঘরের মধ্যে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
জানা গেছে, অন্য সম্প্রদায়ের এক যুবক ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। তিন দিন আগে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আদালত ও মেডিকেল পরীক্ষার পর পুলিশ তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যেই জেলে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
নাগফানি থানার বাংলাগাঁও চৌকি এলাকার বাসিন্দা এক মহিলার স্বামী মারা গেছেন। গত ২৮শে জুন ওই মহিলা নাগফানি থানায় তার ১৭ বছর বয়সী মেয়েকে ফুসলিয়ে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। নাগফানি পুলিশ দল এই মামলায় ডিলারি গ্রামের ফরিদপুর হাজীর বাসিন্দা চান্দ মহম্মদকে ২রা জুলাই গ্রেফতার করে এবং তার কাছ থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। পুলিশ ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা করায় এবং তার জবানবন্দি নেয়, যেখানে ভুক্তভোগী ধর্ষণের কথা জানায়।
এরপর পুলিশ অপহরণের মামলায় ধর্ষণ এবং পকসো (POCSO) আইনের ধারা যুক্ত করে অভিযুক্ত চান্দ মহম্মদকে ২রা জুলাই-ই জেলে পাঠায়। পরে পুলিশ ভুক্তভোগীকে শিশু কল্যাণ কমিটির সামনে পেশ করে এবং সেখান থেকে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ভুক্তভোগী বাড়িতেই ছিল। শনিবার সকালে ভুক্তভোগীর মা কোনো কাজে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন।
মায়ের চোখে যা পড়ল, তাতে হুঁশ উড়ে গেল
সকাল ৯:৩০ নাগাদ ফিরে এসে মা দেখেন, মেয়ে ওড়নার সাহায্যে পাখার সাথে ঝুলছে। নাগফানি থানার এসএইচও সুনীল কুমারের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফরেনসিক টিম ডেকে তদন্ত শুরু করে। পরে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এসপি সিটি কুমার রণবিজয় সিং জানান, নাগফানিতে এক কিশোরী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তার মা ২৮শে জুন তার অপহরণের মামলা দায়ের করেছিলেন।