পুলিশ দোকান বন্ধ করতে বলতেই ‘মুসলিম জনতা’ ঘিরে ধরে মারধর করল, ভিডিও দেখে আতঙ্কিত মানুষ

উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে এক ‘মুসলিম জনতা’র আক্রমণে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক কনস্টেবল বর্বর হামলার শিকার হয়েছেন। আক্রান্ত কনস্টেবল মহাবীর রাতে টহল দিচ্ছিলেন এবং তিনি বাজার বন্ধ করার জন্য একটি সাধারণ সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই সতর্কবার্তা একদল জনতার কাছে এতটাই অপছন্দনীয় হয় যে, তারা আইন রক্ষাকারী এই কর্মীকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে।
এই ঘটনাটি শুক্রবার রাতে প্রায় ১০টা নাগাদ ঘটে, যখন কনস্টেবল মহাবীর তার নিয়মিত টহলে ছিলেন। শহরের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় কিছু দোকান নির্ধারিত সময়ের পরেও খোলা ছিল। মহাবীর দোকানদারদের নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন এবং বাজার বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এই কথাতেই জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
কীভাবে ‘মুসলিম জনতা’ জড়ো হলো?
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কনস্টেবল দোকান বন্ধ করতে বলতেই সেখানে উপস্থিত কিছু যুবক চিৎকার শুরু করে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রায় ৩০-৪০ জনের একটি ‘মুসলিম জনতা’ জড়ো হয়ে যায়। তারা মহাবীরকে ঘিরে ধরে লাঠি ও ডান্ডা দিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, কীভাবে জনতা একজন একা পুলিশকর্মীকে নির্মমভাবে মারধর করছে। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই পুরো উত্তরপ্রদেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন যে, যদি ‘মুসলিম জনতা’ পুলিশের উপর হামলা করতে না ভয় পায়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত হবে?
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
পিলিভিট পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাঁচজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইপিসি-র ধারা ১৪৭, ১৪৮, ৩০৭, ৩৫৩ এবং ৩৩২ এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে। এসপি পিলিভিট দিলীপ কুমার মিডিয়াকে জানিয়েছেন যে, “ঘটনাটি গুরুতর, আমরা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করব।”
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত
এই ঘটনা স্থানীয় স্তরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাকেও উস্কে দিয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলো একে একজন পুলিশকর্মীর উপর ‘ধর্মীয় জনতার’ হামলা বলে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে, কিছু মুসলিম নেতা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করে বলেছেন যে, সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনা উচিত।
বিশিষ্ট সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক অজয় কুমার বলেছেন, “যখন একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জনতা আইন ভঙ্গ করে পুলিশের উপর হামলা করে, তখন এটি একটি সামাজিক ব্যর্থতার ইঙ্গিত। এটি শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপার নয়, বরং সামাজিক শৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামিরও একটি বিষয়।” পিলিভিটের এই ঘটনা কেবল একটি হামলা নয়, বরং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এবং পুলিশের মর্যাদার উপর একটি গুরুতর প্রশ্ন। একটি ‘মুসলিম জনতা’ কর্তৃক প্রকাশ্যে পুলিশকর্মীর উপর হামলা করা এটিই দেখাচ্ছে যে, জনতা এখন আইনের ভয় পাচ্ছে না। এটি শুধু পিলিভিটের সমস্যা নয়, বরং একটি বড় ইঙ্গিত – যে যতক্ষণ না এমন ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ততক্ষণ না পুলিশ নিরাপদ, না জনতা।
Muslim mob thrashed and nearly lynched UP Police constable Mahavir in Pilibhit, UP.
— Treeni (@TheTreeni) July 6, 2025
The constable had objected to the opening of shops beyond the permissible hour.
No one seems safe from them. Not even the police! pic.twitter.com/liyuP2iIqa