ধর্ষণ-খুন! ২৫ বছর পর সাফাইকর্মীর চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

কর্নাটকের ধর্মস্থলায় এক প্রাক্তন সাফাইকর্মীর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি এলাকায় শিহরণ জাগিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে তাকে জোর করে ধর্ষণ ও খুনের শিকার মহিলাদের দেহ কবর দিতে বা পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। প্রাণে মারার হুমকির মুখে তিনি এই ভয়াবহ কাজে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি অপরাধবোধে জর্জরিত হয়ে তিনি ধর্মস্থলা থানায় হাজির হয়ে সব স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, অনেক দেহে যৌন নির্যাতন ও শ্বাসরোধের চিহ্ন ছিল। বিশেষত ২০১০ সালে একটি পেট্রল পাম্পের কাছে ১৩-১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রীর বিবস্ত্র দেহ দেখে তিনি কেঁপে উঠেছিলেন, যার শরীরে ধর্ষণ ও খুনের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। এই ঘটনাগুলি তাকে বছরের পর বছর তাড়া করে ফিরেছে।
এই স্বীকারোক্তির পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সাফাইকর্মী পুলিশকে দেহাবশেষের ছবি ও কবরের স্থান চিহ্নিত করতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২১১(এ) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, এবং অভিযুক্তের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। প্রায় এক দশক আগে ধর্মস্থলা ছাড়া এই ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী রাজ্যে আত্মগোপন করেছিলেন, কিন্তু ভয় ও অপরাধবোধ তাকে ছেড়ে যায়নি। পুলিশ সুপারের কাছে তিনি পরিবারের সুরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন। যদি এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে ধর্মস্থলার অন্ধকার অধ্যায় উন্মোচিত হতে পারে, যা সমাজে ন্যায়বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করবে।