মোহনপুর দেওয়ান পুকুর কারবালার মাঠে অস্ত্র ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভাবে লাঠি খেলার মধ্যে দিয়ে তাজিয়া নিয়ে মহরম উৎসব

বাইজিদ মন্ডল ডায়মন্ড হারবার:- বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে মহরম নববর্ষের দিন হিসেবে পালিত হয়।ইসলামিক ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস,মহরমের দশম তারিখটি আশুরা নামে পরিচিত, ইসলামে একটি স্মরণীয় গুরুত্বপূর্ণ দিন।তবে,শিয়ারা এই দিনে শোক প্রকাশ করে এবং সুন্নিরাও শোক প্রকাশের পাশাপাশি পুরো দিন রোজাও রাখে। অন্যান্য সময় চাঁদ ওঠা মানেই মুসলিমদের জন্য খুশির ইঙ্গিত। হয় ঈদ,নয়তো রোজা বা শবে বরাতের মতো বিশেষ কোনো দিনের আগমন। কিন্তু মহররমের চাঁদ কোনো খুশির বার্তা নিয়ে আসেনা। বরং চাঁদ উঠলেই নেমে আসে শোকের ছায়া।”বাঙালির জন্য ২১শে ফেব্রুয়ারী যেমন শোক দিবস, আহলে বাইত (নবীর বংশধর) ভক্তদের কাছে আশুরাও তেমনই। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে মহরমের উৎসব,শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে তাজিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কারবালার মাঠে এমনটাই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবার সহ বিভিন্ন জায়গাতে।
এদিন ডায়মন্ড হারবার মোহনপুর শান্তি কমিটির পরিচালনায় দেওয়ান পুকুর কারবালার মাঠে মহরমের যে লাঠিখেলা, সেই লাঠি খেলা দেখা গেল, শান্তি পূর্ণভাবে অস্ত্র ছাড়াই। আগের বারের থেকে এবছর কিছুটা হলেও ধর্মীয় দিক দিয়ে অনেকটা সাবধানতার সঙ্গে পালন করা হয়। কেনোনা যেখানে মহরমের আগে এক প্রশাসনিক বৈঠকে,ডায়মন্ড হারবার প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিশেষ ভাবে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার দলীয় পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদও মহরম দিনে কঠোর ভাবে নিষেধ করেন, ডিজে ও মদ্যপ অবস্থায় কোনো ভাবে ধর্মীয় শরীয়াত এর বাহিরে কার্যকলাপ বরদাস্ত করা যাবে না। সেই কথা মত কিছুটা হলেও ধর্মীয় দিককে মাথায় রেখে এবারে মহরম এর দিনটি পালন করে। মহরম উপলক্ষে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ জায়গায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছিল। মোহনপুর শান্তি কমিটির পক্ষ থেকে উদ্যোক্তারা জানান মহররমের ১০ তারিখ আশুরা কারবালার শহীদদের স্মরণে শোক পালন করা হয়।
এসময়টায় আমাদের খাবার-দাবার, চলা ফেরা, পোশাক-আশাক সবেতেই থাকে শোকের আমেজ। কিন্তু দেখা যায় বিষয়টা যতটা না ধর্মীয় তার চেয়ে বেশি সাংস্কৃতিক রীতি হিসেবে পালন করা হচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় উড়ছে কালো পতাকা আর লাল-সবুজ নিশান। রাস্তার মোড়ে মোড়ে টাঙানো মজলিশের কালো ব্যানার। কালো জামা-কাপড় পরা মানুষের ভিড়। মহরমের চাঁদ ওঠামাত্রই মুসলিম সম্প্রদ্রায়ের মুসলিমরা শোকের চিহ্ন ধারণ করেন।উদ্যোক্তারা আরো জানায় ডায়মন্ড হারবার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার পর্যবেক্ষক সামিম আহমেদ এর সহযোগিতায় এই মহরম উৎসব অস্ত্র ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পূর্ণ হয়।