মাথায় ৫ কেজির টিউমার! ডাক্তারদের অলৌকিকতায় নতুন জীবন পেলেন যুবক

মাথায় বিশাল আকারের একটি টিউমার নিয়ে জীবন কাটানো এক তরুণের জীবনে নতুন প্রাণ এনে দিয়েছেন শিরডি সাইবাবা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বহু হাসপাতাল যেখানে অস্ত্রোপচার করতে অস্বীকার করেছিল, সেখানে এই জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং রোগী আবার নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। এই চিকিৎসা সেবা কেবল একটি নিছক চিকিৎসা ছিল না, বরং এটি একটি সামাজিক অবদান হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
২২ বছর বয়সী অনিকेत ভানু দাস ইঙ্গলে (আকোলা জেলার চত্তরি, পাতুর গ্রামের বাসিন্দা) জন্ম থেকেই ছোট একটি টিউমার নিয়ে জীবনযাপন করছিলেন, যা বেড়ে প্রায় ৪.৯ কেজি ওজনের হয়ে গিয়েছিল। এই টিউমারটি এতটাই বড় ছিল যে দূর থেকেও সহজেই চোখে পড়ত এবং এটি তার সামাজিক, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলছিল।
চিকিৎসকদের সাহসী সিদ্ধান্ত ও বিনামূল্যে সফল অস্ত্রোপচার
এই টিউমার নিয়ে বহু বছর ধরে বেঁচে থাকা অনিকিতের অবস্থা দেখে এবং তার জীবনের সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনা করে, অনেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করতে অস্বীকার করেছিলেন। বহু নামকরা হাসপাতালে ঘুরেও কেউ দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন না। অবশেষে, শেষ ভরসা হিসেবে অনিকेत শিরডির শ্রী সাইবাবা হাসপাতালে আসেন। শ্রী সাইবাবা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর, ডঃ অজিনক্যা পানগাহভানে অনিকিতের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করেন এবং এই অত্যন্ত জটিল অস্ত্রোপচারের সাহসী সিদ্ধান্ত নেন।
সম্ভাব্য ঝুঁকি স্বীকার করে রোগী এবং তার পরিবার সম্মতি দেয়। ২৫ জুন, ডঃ অজিনক্যা পানগাহভানে এবং অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ডঃ নিহার যোশী ও তাদের সার্জারি টিম নিরলস প্রচেষ্টায় ৩০ বাই ২.৫ সেন্টিমিটার আকারের এবং ৪.৯ কেজি ওজনের টিউমারটি রোগীর মাথা থেকে সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করেন। রোগীর জীবনের কোনো ঝুঁকি ছাড়াই এই জটিল এবং বিরল অস্ত্রোপচার সফল হয়। ডঃ অজিনক্যা পানগাহভানে জানান, শ্রী সাইবাবা হাসপাতালে এই ধরনের অস্ত্রোপচার এই প্রথমবার সম্পন্ন হয়েছে এবং হাসপাতালের পুরো টিমের সমন্বয়ের কারণেই এটি সফল হয়েছে। রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরেছেন। এই পুরো অস্ত্রোপচারটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করেছে।